বাসচালকের ছেলে থেকে লন্ডনের মেয়র, নাইটহুড পাচ্ছেন সাদিক খান

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫: ২৯
সাদিক খান। ছবি: এএফপি

ব্রিটেনের সম্মানসূচক ‘নাইট’ বা ‘স্যার’ উপাধি পেয়েছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত লন্ডনের মেয়র সাদিক খান। নতুন বছরের জন্য প্রকাশিত সম্মানসূচক এই তালিকায় আরও আছেন প্রখ্যাত ব্রিটিশ লেখক স্টিফেন ফ্রাই, ইংল্যান্ডের জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। এ ছাড়া, ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির নেতা এমিলি থর্নবেরি ডেম উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গত মে মাসে সাদিক খান তৃতীয় মেয়াদে লন্ডন সিটি মেয়র নির্বাচিত হন। নাইটহুড পাওয়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে সাদিক খান বলেন, তিনি এই সম্মান পেয়ে অত্যন্ত বিনীত বোধ করছেন। ৬৭ বছর বয়সী স্টিফেন ফ্রাই স্বনামধন্য লেখক ও অভিনেতা। তিনি মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মান পেয়েছেন। ফ্রাই বলেছেন, তিনি এই খবর পেয়ে ‘চমকিত ও মুগ্ধ’।

নাইটহুড পাওয়া আরেক জন ৫৪ বছর বয়সী সাউথগেট ইংল্যান্ডের পুরুষ ফুটবল দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে ইংল্যান্ড দল ২০২০ এবং ২০২৪ সালের ইউরো ফাইনাল এবং ২০১৮ সালের বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে ওঠে। ফুটবলে তাঁর অবদানের জন্য সম্মানিত করা হয়েছে।

এমিলি থর্নবেরি লেবার পার্টির নেতা। তাঁর দল বিরোধী দলে থাকাকালে ছায়া সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেলের ভূমিকা পালন করেন। কিন্তু চলতি বছর লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসার কিয়ার স্টারমারের প্রথম মন্ত্রিসভা থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে বাদ পড়েন। এমিলি থর্নবেরি ‘ডেম কমান্ডার অব দ্য অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার’ পদবি পেয়ে নিজেকে ‘সম্মানিত ও বিস্মিত’ বলে আখ্যা করেছেন।

এদিকে, নাইটহুড পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় সাদিক খান বলেন, ‘দক্ষিণ লন্ডনের একটি কাউন্সিল এস্টেটে বড় হওয়া অবস্থায় আমি কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি যে—একদিন আমি লন্ডনের মেয়র হব। এই শহরের সেবা করা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্মান। আমি লন্ডনের সব সম্প্রদায়ের জন্য ন্যায্য, নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব এবং আরও সমৃদ্ধ একটি শহর গড়ে তোলার কাজ চালিয়ে যাব।’

দক্ষিণ লন্ডনের টুটিংয়ে পাকিস্তানি পরিবারে জন্ম নেওয়া স্যার সাদিক মানবাধিকার আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। তাঁর বাবা ছিলেন বাসচালক। ২০০৫ সালে নিজের শহর থেকে লেবার পার্টির মনোনয়নে এমপি হিসেবে পার্লামেন্টে প্রবেশ করেন। গর্ডন ব্রাউনের আমলে তিনি জুনিয়র মন্ত্রী হিসেবে কাজ করেন এবং পরে এড মিলিব্যান্ডের অধীনে ছায়া সরকারে বিচারমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সাদিক খান ২০১৬ সালে কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী জ্যাক গোল্ডস্মিথকে পরাজিত করে বরিস জনসনের উত্তরসূরি হিসেবে লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হন। তিনিই প্রথম মুসলিম হিসেবে পশ্চিমের উন্নত বিশ্বের কোনো দেশের বড় শহরের প্রথম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি টানা তিন মেয়াদে লন্ডনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এখন তাঁর তৃতীয় মেয়াদ চলছে।

সিরিয়া সফরে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী, হাত মেলালেন না বিদ্রোহী নেতা

কুরস্কে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে রুশ-উ. কোরিয়ার সেনারা: জেলেনস্কি

এক বছরে সোয়া ৪ লাখ সেনা হারিয়েছে রাশিয়া, দাবি ইউক্রেনের

সৈনিকদের রেডিও স্টেশন এখন ইউক্রেনের এক যোদ্ধা কবি