স্ত্রী ‘নারী’ নয় বলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ভারতের মধ্যপ্রদেশের এক ব্যক্তি। তাঁর দাবি, মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী তাঁর স্ত্রী ‘নারী’ নন এবং তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। বিষয়টির নিষ্পত্তি চেয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ দাখিল করে তালাক চেয়েছেন ওই ব্যক্তি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এ বিষয়টি জানা গেছে।
বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল ও এমএম সুন্দরেশের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ গত শুক্রবার অভিযুক্ত ওই নারীকে—গত বছরের ২৯ জুলাই মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে তাঁর স্বামীর অভিযোগের জবাব দাখিল করতে বলেছেন।
ওই নারীর মেডিকেল রিপোর্ট থেকে দেখা গেছে তাঁর একই সঙ্গে পুরুষ যৌনাঙ্গ এবং অসম্পূর্ণ স্ত্রী যৌনাঙ্গ রয়েছে। এই মেডিকেল রিপোর্টের ভিত্তিতেই সুপ্রিম কোর্ট ওই নারীকে জবাব দিতে নোটিশ জারি করেছে। এর আগে, মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট ওই ব্যক্তির আবেদন এই বলে খারিজ করে দিয়েছিল যে—কেবল মৌখিক প্রমাণের ভিত্তিতে এবং মেডিকেল রিপোর্ট ছাড়া প্রতারণার অভিযোগ আনা যাবে না।
ওই ব্যক্তির আবেদনে বলা হয়, তাঁরা ২০১৬ সালে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু তাঁর স্ত্রী ‘বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক থেকে বিরত ছিল’ এবং বাপের বাড়িও চলে গিয়েছিল। ছয় দিন পর ফিরে আসলে ওই ব্যক্তি স্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি দেখতে পান তাঁর স্ত্রীর কোনো স্ত্রী যৌনাঙ্গ নেই এবং শিশুদের মতো ছোট পুরুষ যৌনাঙ্গ রয়েছে।
আবেদনকারী ওই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে মেডিকেল চেক-আপের জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে দেখা যায় স্ত্রীর, ‘ইম্পারফোরেট হাইমেন’ নামক একটি সমস্যা রয়েছে। ব্যক্তিটি জানিয়েছেন, তিনি তাঁর স্ত্রীকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অবস্থা পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
আবেদনকারী আরও বলেছেন, তিনি প্রতারিত বোধ করছেন। বিয়ের পর তিনি তাঁর শ্বশুরকে ফোন করে বিষয়টি বলে তাঁর মেয়েকে ফিরিয়ে নিতে বলেন। কিন্তু ওই নারীর বাবা উল্টো ওই ব্যক্তিকে তাঁর বাড়িতে ঢুকে হুমকি দেয়। পরে ওই ব্যক্তি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন এবং তালাকের জন্য আদালতে যান।