ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রায় পাথর ছোড়ার পর ভয়াবহ সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে। সংঘাতে জড়িতরা বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে গুলিতে নিহত হয়েছেন দুইজন রক্ষী। আহত হয়েছেন পুলিশের সাত সদস্য।
সংঘাত শুরু হওয়ার পর প্রাণ বাঁচাতে প্রায় ২ হাজার ৫০০ নারী-পুরুষ-শিশু গুরুগ্রামের কাছে একটি মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছে। বাইরে ব্যাপক সহিংসতা চলছে। তাঁরা ঘরে ফেরার সাহস পাচ্ছেন না। পুলিশ টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে।
সহিংসতা প্রশমনে রাজ্য সরকার ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করেছে। বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
গুরুগ্রামসংলগ্ন নুহতে একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রা চলাকালীন সহিংসতা শুরু হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, ক্ষমতাসীন বিজেপি ঘনিষ্ঠ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আয়োজিত ব্রিজ মন্ডল জলাভিষেক যাত্রা আজ সোমবার গুরুগ্রাম-আলওয়ার জাতীয় সড়কে এলে একদল যুবক বাধা দেয় এবং মিছিল লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে।
সহিংসতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষুব্ধ জনতা সরকারি ও বেসরকারি যানবাহনকে তাদের লক্ষ্যবস্তু করছে।
ধর্মীয় শোভাযাত্রায় অংশ নিতে আসা আড়াই হাজার মানুষ নুলার মহাদেব মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের গাড়িগুলো বাইরে পার্কিং করে রাখা হয়েছে। পুলিশ এখন পর্যন্ত তাঁদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে পারেনি।
সন্ধ্যার দিকে সহিংসতা গুরুগ্রাম-সোহনা হাইওয়েতে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করেও পাথর ছোড়া হয়।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় বজরং দলের একজন কর্মীর পোস্ট করা একটি আপত্তিকর ভিডিওর জেরেই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।