হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

অবশেষে ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতি শুরু

অনলাইন ডেস্ক

ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি অবশেষে কার্যকর হয়েছে। ছবি: জেরুসালেম পোস্টের সৌজন্যে

দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান সংঘর্ষ অবশেষে থেমেছে। লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই যুদ্ধবিরতি চলবে ৬০ দিন। তবে ইসরায়েল জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হলেও তারা হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা ও বার্তা সংস্থা রয়টার্সের পৃথক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার বৈশ্বিক আহ্বানে সাড়া দিয়ে হিজবুল্লাহর সঙ্গে দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা সর্বাত্মক যুদ্ধের পর লেবাননে যুদ্ধবিরতি শুরু করেছে। তবে গাজায় লড়াই অব্যাহত থাকবে এবং ইসরায়েল প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলেছে, তারা ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে সমূলে ধ্বংস করবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অনুমোদন দেয়। বিষয়টি সুখবর আখ্যা দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, এই যুদ্ধবিরতি স্থানীয় সময় আজ বুধবার ভোর ৪টা থেকে কার্যকর হবে এবং এটি লেবাননের জন্য এক ‘নতুন সূচনা।’

লেবাননে ১৯৯০ সালের গৃহযুদ্ধের পর অস্ত্র জমা দিতে অস্বীকৃতি জানানো সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ সরাসরি এই আলোচনায় উপস্থিত ছিল না। লেবাননের পার্লামেন্টের স্পিকার নাবি বেরি হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে আলোচনায় অংশ নেন। লেবাননের এক কর্মকর্তা জানান, যুদ্ধবিরতির সময় উভয় পক্ষই হামলা চালানো বন্ধ রাখবে।

তবে যুদ্ধবিরতির সময় হিজবুল্লাহ কোনো ধরনের লঙ্ঘন করলে ইসরায়েল শক্তিশালী প্রতিশোধ নেবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি আরও বলেন, ‘এই যুদ্ধবিরতি ইসরায়েলকে গাজায় এবং ইরানের হুমকি মোকাবিলার দিকে মনোযোগ দিতে সাহায্য করবে এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে পুনরায় অস্ত্র-গোলাবারুদ ও রসদ সংগ্রহ করার সুযোগ দেবে।’ নেতানিয়াহু আরও বলেন, ‘হিজবুল্লাহ সংঘর্ষ থেকে সরে এলে, হামাস একা পড়ে যাবে। আমরা তাদের ওপর আরও বেশি চাপ প্রয়োগ করব।’

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা হামাসকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করব, আমাদের সব বন্দিকে ঘরে ফিরিয়ে আনব। নিশ্চিত করব যে, গাজা আর ইসরায়েলের জন্য হুমকি হবে না এবং আমরা উত্তরের বাসিন্দাদের নিরাপদে তাদের ঘরে ফিরিয়ে আনব।’

এই চুক্তির অংশ হিসেবে লেবাননের সশস্ত্র বাহিনীকে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে মোতায়েন করা এবং ৬০ দিনের মধ্যে ইসরায়েল ধাপে ধাপে লেবাননের ভূখণ্ড থেকে সরে যাবে। এই চুক্তি হিজবুল্লাহকে দক্ষিণ সীমান্ত থেকে পিছু হটে লিতানি নদীর এপারে সরিয়ে আসতেও বাধ্য করবে।

এই যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘এই যুদ্ধবিরতি গাজার সংঘাত স্থায়ীভাবে বন্ধ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা চুক্তিটি কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে সব ধরনের সহায়তা দেবে।’ এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, লেবাননের যুদ্ধবিরতি গাজায় সংঘাত বন্ধ করতে এবং বন্দীদের মুক্ত করতে একটি মাইলফলক হতে যাচ্ছে।

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে ইসরায়েলের ব্যর্থতা মনে করেন হিজবুল্লাহ প্রধান

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে রোববার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে: কাতার

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে যা আছে

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় অনুমোদন, কার্যকর রোববার

ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন, মন্ত্রিসভার সম্মতির অপেক্ষা

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত, একদিন পিছিয়ে কার্যকর হতে পারে সোমবার থেকে

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিশ্চিত করল ইসরায়েল, অনুমোদনে মন্ত্রিসভার বৈঠক আজ

যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দিয়েও গাজায় ব্যাপক হামলা চালাল ইসরায়েল

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে কী আছে

অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হামাস ও ইসরায়েল

সেকশন