অনলাইন ডেস্ক
লেবাননের রাজধানী বৈরুতের উপকণ্ঠে অবস্থিত হিজবুল্লাহর সদরদপ্তর গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েল। হিজবুল্লাহর প্রধান সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহকে লক্ষ্য করে হামলা হলেও তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে পারেনি প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ)। তবে হাসান নাসরুল্লাহ বেঁচে আছেন বলে দাবি করেছে হিজবুল্লাহ।
গতকাল শুক্রবার বিকেলের দিকে এই হামলা চালায় ইসরায়েল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও বিশ্লেষণ করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলেছে, অঞ্চলটি বৈরুতের দক্ষিণের দাহিয়েহ শহরতলি।
ইসরায়েলি হামলার পর সেখান থেকে একাধিক বড় ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা গেছে। এলাকাটিতে হিজবুল্লাহর শক্তিশালী উপস্থিতি আছে। এ ছাড়া ঘনবসতিপূর্ণ এই এলাকায় গোষ্ঠীটির অনেক শীর্ষ নেতাই বসবাস করেন।
ইসরায়েলি এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে সিএনএনকে বলেছেন, হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরুল্লাহ ইসরায়েলের হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিলেন। হাসান নাসরুল্লাহ এই হামলায় নিহত হয়েছেন কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য কাজ করছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
এক জ্যেষ্ঠ ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, নাসরুল্লাহ মারা গেছেন— এমনটা মন্তব্য করার সময় এখনো আসেনি।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি এই হামলায় অন্তত দুজন নিহত ও ৭৬ জন আহত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এনএনএ জানিয়েছে, ছয়টি ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। হামলার অব্যবহিত পরে প্রকাশিত ভিডিওতে এক বিশাল গর্ত দেখানো হয়েছে।
মার্কিন সেনাবাহিনীর সাবেক এক বিস্ফোরক অস্ত্র বিশেষজ্ঞ সিএনএনকে বলেছেন, বৈরুতে ইসরায়েলি হামলার পরের ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে বোঝা যায়, সেখানে ২০০০ পাউন্ড বোমা ব্যবহার করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘ক্ষতির মাত্রা বিবেচনা করে সঠিক অস্ত্র এবং পরিমাণ নির্ণয় করা কঠিন। তবে সম্ভবত একাধিক ২০০০-পাউন্ড বোমা, এমকে-৮৪ এস, এমপিআর-২০০০ বা বিএলইউ-১০৯ বাংকার ব্লাস্টার আলাদাভাবে বা একসঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছিল।’
এদিকে হাসান নাসরুল্লাহ অক্ষত আছেন বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ হিজবুল্লাহর মুখপাত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে।
হিজবুল্লাহর মুখপাত্র হাজ মুহাম্মাদ আফিফ ইরানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেছেন, ‘মহামহিম সেক্রেটারি জেনারেল ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং তিনি ইসরায়েলি হামলার সময় সেখানে ছিলেন না।’