অনলাইন ডেস্ক
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে আজ রোববার। প্রযুক্তি ও সামরিক দিক থেকে এগিয়ে থাকা এমন দেশের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার কি করে এমন দুর্ঘটনার কবলে পতিত হয়—তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এ বিষয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার কূটনৈতিক সম্পাদক জেমস বেস জানিয়েছেন, ইরানের এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি পরিচালনার ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরেই হিমশিম খাচ্ছিল। এর অন্যতম কারণ দেশটি বিমানের পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পায় না। ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর থেকে ইরানের বিরুদ্ধে কোনো না কোনোভাবে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
১৯৭৯ সাল থেকে প্রায় ২ হাজার ইরানি বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে। বিপ্লবের পর থেকে এ পর্যন্ত ৪৪ বছরে ইরান এয়ারলাইন্সের দুর্ঘটনার ফলে ১ হাজার ৭৫৫ জন হতাহত হয়েছেন।
এ থেকে প্রতীয়মান যে, ইরানে বিমান চলাচল নিরাপদ নয়। এর কারণ তাঁরা যন্ত্রাংশ, বিমান এবং সরঞ্জাম পায় না যা অন্য দেশগুলো সহজেই কিনতে পারে। কিন্তু ইরান তা পারে না, তাঁদের অনুমতি নেই।
এদিকে একজন ইরানি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আজ রোববার ভারী কুয়াশার মধ্যে পাহাড়ি অঞ্চল অতিক্রম করার সময় হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। উদ্ধারকারীদের ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ইরানের উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলে আজারবাইজানের সীমান্তে বাঁধ উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়া। দুর্ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ানের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
আরও পড়ুন—