আজকের পত্রিকা ডেস্ক
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান মুসলিম লীগের (এন) নেতা নওয়াজ শরিফ আল-আজিজিয়া দুর্নীতি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট তাঁকে খালাস দেন।
নওয়াজের বিরুদ্ধে হওয়া বিভিন্ন মামলার মধ্যে আল-আজিজিয়া ছিল সর্বশেষ দুর্নীতির মামলা। এটি থেকেও খালাস পেলেন তিনি। ফলে আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে এবং জয়ী হওয়া সাপেক্ষে সরকারি দপ্তরে কাজ করার যোগ্য হলেন তিনি। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগে এ রায় তাঁর জন্য বড় ধরনের স্বস্তির বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আল-আজিজিয়া দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালে বিচারিক আদালত নওয়াজকে দোষী সাব্যস্ত করে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আপিল করেন। মামলাটি পুনর্বিচারের জন্য আবেদন জানিয়েছিল দেশটির জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরো (এনএবি)। এরপর মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক ও বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেবের বেঞ্চ নওয়াজকে খালাস দিলেন।
একই বেঞ্চ গত ২৯ নভেম্বর অ্যাভেনফিল্ড দুর্নীতি মামলায় নওয়াজকে খালাস দেন। ওই মামলায় ২০১৮ সালে নওয়াজকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত।
পানামা পেপারস-কাণ্ডে নাম আসায় ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গদিচ্যুত হয়েছিলেন নওয়াজ। পাকিস্তানের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেন, আজীবন দলের কোনো পদে থাকতে পারবেন না তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে আয়বহির্ভূত বিপুল অঙ্কের সম্পত্তি লুকানোর অভিযোগ ছিল। কারাগারে থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালে আদালতের অনুমতি নিয়ে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে গিয়েছিলেন নওয়াজ। এরপর তিনি চার বছর যুক্তরাজ্যেই ছিলেন। গত অক্টোবরে তিনি দেশে ফেরেন।