প্রশ্ন: সবেমাত্র অনার্স পাস করেছি। সম্প্রতি বাবা মারা গেছেন। ইদানীং মনে হচ্ছে, সবাই আমাকে ব্যবহার করছে, অথবা করুণা দেখাচ্ছে। আমি বাসার ছোট মেয়ে। আমাকে সবাই এখনো ছোটদের মতো ভাবে। চাকরি করতে দেবে না। তাদের ধারণা, আমি পরিস্থিতি সামলাতে পারব না। বাসার মানুষের কাছে নিজের যোগ্যতা কীভাবে প্রমাণ করব?
আমার বন্ধুবান্ধব চাকরিতে ঢুকে যাচ্ছে। আমি হীনম্মন্যতায় ভুগছি। রাতে ঘুমাতে পারছি না। বন্ধুরা সবাই ব্যস্ত, কারও সঙ্গে কথাও শেয়ার করতে পারছি না। বাসায় সবাই আদর করে। কিন্তু আমার মনের অবস্থাটা কেউ বুঝতে চাইছে না। সবাই মনে করে, কয়েক দিন পর সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু আমি জানি, ব্যাপারটা এমন নয়। খুবই একা লাগে। সমস্যাটা কি আসলে সামান্য?
উত্তর: প্রশ্ন করার জন্য ধন্যবাদ। আপনজন, বিশেষ করে বাবার মৃত্যু অত্যন্ত কষ্টের। এই বেদনা থেকে বের হতে সময় লাগে। আপনি পরিবারের ছোট সদস্য। এ জন্য সবাই আপনাকে ভালোবাসে এবং আপনার কষ্ট কমাতে চায়। আপনি অনার্স পাস করেছেন, চাকরি করতে চাইছেন। আপনার ইচ্ছাকে স্বাগত জানাই। পরিবারের সদস্যদের দৃঢ়ভাবে জানান যে আপনি চাকরি করবেন এবং খুব ভাবনাচিন্তা করে এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। আপনি আরও জানাবেন যে সামলাতে না পারলে সেটা পরে দেখা যাবে। যে লক্ষণগুলোর কথা বলছেন, তা কিন্তু বিষণ্নতার বা ডিপ্রেশনের লক্ষণ। কোনো চাকরি, প্রশিক্ষণ বা গঠনমূলক যেকোনো কিছুর সঙ্গে যুক্ত থাকলে বিষণ্নতা, হীনম্মন্যতা, ঘুমের সমস্যা– সবকিছু থেকে দূরে থাকা যায়। আরেকটি কথা, বাবার মৃত্যুর ছয় মাস পরও যদি মন খারাপ ও বিষণ্নতা খুব তীব্র থাকে, তাহলে অবশ্যই মনস্তত্ত্ববিদের পরামর্শ নেবেন।
খুব সুন্দর করে আপনার সমস্যাগুলো তুলে ধরেছেন। তা থেকে বোঝা যায়, আপনাকে কোনো দায়িত্ব দিলে আপনি সেটি পারবেন। পরিবারকে বোঝান, আপনার পরিবার বুঝবে।