হোম > বিজ্ঞান

শিকাগোর চিড়িয়াখানায় পুরুষসঙ্গী ছাড়াই শাবকের জন্ম দিল হাঙর

অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ের ব্রুকফিল্ড চিড়িয়াখানায় চার বছর ধরে কোনো পুরুষ সঙ্গীর সংস্পর্শে আসা ছাড়াই এক শাবকের জন্ম দিয়েছে এক স্ত্রী হাঙর। গত ১ নভেম্বর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এ ঘোষণা দিয়েছে বলে বিজ্ঞানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম লাইভ সায়েন্সের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। 

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলে, পাঁচ মাসের ইনকিউবেশনের পর গত ২৩ আগস্ট ‘কুমারী হাঙরের শাবক জন্মের’ ঘটনাটি ঘটে। বদ্ধ স্থানে নিষিক্ত করা ছাড়াই এপোলেট হাঙরের (হেমিসাইলিয়াম ওসেল্যাটাম) সন্তান জন্ম দেওয়ার ঘটনা এ নিয়ে দ্বিতীয়বার।

চিড়িয়াখানার পশুপাখির দেখভালকারীরা পর্যবেক্ষণের জন্য দুই মাস ধরে হাঙরের শাবকটিকে জন সাধারণের কাছ থেকে লুকিয়ে রেখেছিল। তবে এখন তাঁরা বলছেন, ৫ থেকে ৬ ইঞ্চি (১৩ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার) লম্বা নবজাতক স্ত্রী হাঙরটি চিড়িয়াখানার ‘লিভিং কোস্ট’ সেকশনে প্রদর্শনের জন্য রাখা হবে। 
 
ব্রুকফিল্ড চিড়িয়াখানার এক কর্মী গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘এই এপোলেট হাঙরের জন্মের মজাদার গল্প আছে। সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো, এর ভ্রূণটি পুরুষ সঙ্গীর নিষিক্ত করা ছাড়াই বিকশিত হয়েছিল। পার্থেনোজেনেসিস (এক ধরনের অযৌন প্রজনন) নামে পরিচিত এই প্রক্রিয়াটি হাঙরের মতো জটিল মেরুদণ্ডী প্রাণীদের ক্ষেত্রে তুলনামূলক বিরল।’ 

পার্থেনোজেনেসিস একটি গ্রিক শব্দ। এটি কোনো প্রজাতির এমন এক ধরনের অযৌন প্রজননকে বোঝায়, যারা সাধারণত যৌন প্রজনন করে থাকে। বন্দী অবস্থায় পাখি, হাঙর, সরীসৃপ ও সাপের মধ্যে এ ধরনের প্রজনন দেখা যায়। গত জুনে প্রথমবারের মতো কুমিরের মধ্যে অযৌন প্রজনন রেকর্ড করা হয়েছিল। 

পার্থেনোজেনেসিসে সক্ষম প্রজাতির স্ত্রী প্রাণীরা এমন ধরনের ডিম উৎপাদন করতে পারে যাতে প্রজননের জন্য প্রয়োজনীয় সব জেনেটিক উপাদানই থাকে। স্তন্যপায়ী প্রাণীরা অযৌন প্রজনন করতে পারে না। কারণ স্তন্যপায়ী প্রাণীদের প্রজননের জন্য শুক্রাণু থেকে পাওয়া নির্দিষ্ট জিনের প্রয়োজন হয়। যেমন—মানুষ। 

হাঙর শাবকটির মাকে ২০১৯ সালে নিউ ইংল্যান্ডের অ্যাকোরিয়াম থেকে ব্রুকফিল্ড চিড়িয়াখানায় আনা হয়। এরপর থেকে হাঙরটিকে কোনো পুরুষ হাঙরের সঙ্গে রাখা হয়নি। গত বছর হাঙরটি সাত বছর বয়সে প্রজনন সক্ষমতার বয়সে পৌঁছায় এবং তখন থেকে প্রতি মাসে দুই থেকে চারটি করে ডিম পাড়ছে বলে চিড়িয়াখানার এক কর্মী বিবৃতিতে বলেন। 

এর মধ্যে একটি ডিম শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হওয়া ছাড়াই ভ্রূণে বিকশিত হয়। 

ব্রুকফিল্ড চিড়িয়াখানার প্রধান পশু রক্ষণাবেক্ষণ বিশেষজ্ঞ মাইক ম্যাসেলিস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘পার্থেনোজেনেসিসের মাধ্যমে জন্মানো হাঙর শাবক শারীরিকভাবে বেশ নাজুক হতে পারে। তবে এ নবজাতককে সুস্থ মনে হচ্ছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমাদের এপোলেট শাবক কাটা ক্যাপলিন (মাছ), কিমা করা স্কুইড এবং অন্যান্য সূক্ষ্মভাবে কাটা সামুদ্রিক খাবার ভালোই খাচ্ছে। আমরা আশা করছি, দর্শনার্থীরা শিগগিরই শাবকটি দেখতে পাবেন।’ 

অস্ট্রেলিয়ার জাদুঘর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য অনুসারে, এপোলেট হাঙর সাধারণত নিশাচর হয় এবং এরা ৩ দশমিক ৫ ফুট (১ দশমিক ১ মিটার) পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড উপকূলের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফে এ প্রজাতির হাঙর দেখা যায়।

প্রথমবারের মতো নিজস্ব প্রযুক্তির স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করল পাকিস্তান

কক্ষপথে পৌঁছাল ‘নিউ গ্লেন’ রকেট

মৃত্যুর পর আবারও বেঁচে ওঠার সুযোগ ২ কোটি ৪০ লাখ টাকায়

পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছে ১৩ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরের ব্ল্যাক হোল থেকে শক্তিশালী বিকিরণ

অবশেষে কক্ষপথে পৌঁছাল বেজোসের ‘নিউ গ্লেন’ রকেট

চাঁদে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার কেন পাঠাচ্ছে নাসা

‘নিউ গ্লেন’ রকেট উৎক্ষেপণ স্থগিত করল জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিন

গাঁজা সেবনে সিজোফ্রেনিয়া ও পাগল হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে: গবেষণা

উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত বেজোসের ‘নিউ গ্লেন’ রকেট, যে কাজে ব্যবহৃত হবে

শীতকালে মুখ থেকে ধোঁয়া বের হয় যে কারণে

সেকশন