প্রবাদ আছে—‘যত গর্জে তত বর্ষে না’। বেশি তোড়জোড়ে ভালো ফল হয় না। এস্তাদিও মনুমেন্তালে আকাশি-নীলের ঢেউ খেলছে। কিছুক্ষণ পর পর উদ্যাপনে মেতে উঠছেন। আর্জেন্টিনার একেকটা গোল মানে গ্যালারিতে উত্তুঙ্গ উত্তেজনা। মাঠে হলুদ জার্সির খেলোয়াড়েরাও হয়ে ছিলেন নির্বাক দর্শকের মতো। যেন কিছুই করার ছিল না।
লিওনেল মেসি, লাউতারো মার্তিনেজ, পাওলো দিবালা, লো সেলসোদের ছাড়াও আর্জেন্টিনা কতটা বিধ্বংসী দল—ব্রাজিল এরই মধ্যে বুঝে গেছে। তবে সবচেয়ে বেশি বুঝটা হয়তো রাফিনহাই নিয়েছেন! ম্যাচের আগেই তো তীর্যক কথাবার্তা বলে চটিয়ে দিয়েছেন আলবিসেলেস্তেদের। এক হালি গোল দিয়ে মাঠের খেলায় জবাবটা দিয়েছে আর্জেন্টিনা। গোলের পরই এনজো ফার্নান্দেজ-অ্যালিক্সেস ম্যাক আলিস্টারদের বিভিন্ন ভঙ্গির উদ্যাপন। বলার অপেক্ষা রাখে না—উদ্যাপন নয়, ব্রাজিলকেই তাঁরা জবাব দিচ্ছে বিভিন্ন ভঙ্গিতে।
ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজ পরামর্শ দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফিনহাকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে এনজো একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘পরবর্তী সময়ে বিনয়ী থাকো, রাফিনহা।’
ম্যাচের আগে রাফিনহা ব্রাজিলিয়ান গ্রেট রোমারিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোমারিও টিভিকে বলেছিলেন, ‘আমরা তাদের হারিয়ে দেব। সেটা অবশ্যই হবে। সেটা হোক মাঠ কিংবা মাঠের বাইরে।’ আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বলেন, ‘নিশ্চিতভাবে আমি আর্জেন্টিনার বিপক্ষে গোল করব। আমার কাছে যা আছে, সবটুকু ঢেলে দেব।’
দারুণ ব্যাপার হলো, কাতার বিশ্বকাপের পর থেকে এনজো বাংলাদেশের সমর্থকদেরও ভালোবাসায় আটকে আছেন। মাঝেমধ্যে দেখা যায় বাংলাদেশ নিয়ে পোস্ট করতে। আজও জয়ের পর ধন্যবাদ জানালেন বাংলাদেশের সমর্থকদের। আরেকটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ বাংলাদেশ—অবিশ্বাস্য সমর্থন ও বার্তাগুলোর জন্য। এই বিজয় আপনাদেরও।’ সঙ্গে পাশাপাশি জুড়িয়ে দিয়েছেন আর্জেন্টিনা-বাংলাদেশের পতাকা ইমোজি। এনজোকে বিভিন্ন বার্তা পাঠিয়ে পাশে ছিলেন বাংলাদেশের সমর্থকেরা।
পুরো ম্যাচে আলো ছড়িয়েছেন এনজো। ১২ মিনিটের আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি। যদিও স্কালোনির কৌশলে আজ আক্রমণভাগে খেলেছেন তিনি। পুরো মাঠেই অবদান রেখেছেন। ম্যাচের সর্বোচ্চ রেটিংধারী ফুটবলারও তিনি।