আর্জেন্টিনাকে উড়িয়ে দেওয়ার হুংকার দিয়ে মাঠে নেমেছিল ব্রাজিল। মুখের কথাটা মাঠে বাস্তবে করে দেখাতে পারেনি তারা। ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে রীতিমতো হতাশায় মুখ ডেকেছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়ররা। ভক্ত-সমর্থকদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের ক্ষোভ নিশ্চয় চোখে পড়ছে ব্রাজিলের খেলোয়াড়দেরও।
ম্যাচ শেষে সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন ব্রাজিলের অধিনায়ক মার্কিনিয়োস। আর্জেন্টিনার কাছে অসহায় আত্মসমর্পণের পর তিনি বলেন, ‘এখনো খেলার রেশ রয়ে গেছে, এখনই কথা বলা কঠিন। তবে এটা বিব্রতকর (হার)। আজকে আমরা যা করেছি, এটার পুনরাবৃত্তি করা যাবে না।’
শুরুতেই হুলিয়ান আলভারেজের গোলে পিছিয়ে পড়ে ব্রাজিল। মার্কিনিয়োস বলেন, ‘ম্যাচের শুরুটাই আমাদের ছিল বাজে। আমরা যা করতে পারি, এর গড়পড়তারও নিচে ছিল তা এবং ওরা তো এমনিতেই আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ছুটছে। ওরা জানে, কীভাবে স্মার্ট ফুটবল খেলতে হয়। সমর্থকদের জন্য খারাপ লাগছে, ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
হারের পর কোচ দরিভাল জুনিয়রের সমালোচনার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন ব্রাজিল সমর্থকেরা। তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলছেন অনেকে। দেশটির সংবাদমাধ্যমেও হচ্ছে তাঁর সমালোচনা। মার্কিনিয়োস অবশ্য এর বিপরীত, ‘এটা স্রেফ কোচের ভুল নয়, ফুটবলারদেরও দায় আছে অনেক। ফুটবলে এমন কোনো রহস্যময় ফর্মুলা নেই, কিছু একটা বেছে নিলে তা কাজ করবে। আমাদের সবাইকে আরও ভালো করতে হবে। দায় আমাদের সবারই ভাগাভাগি করতে হবে। সময় ও পরিস্থিতি উপলব্ধি করে মাটিতে পা রাখতে হবে।’
মেসি-লাউতারোদের মতো তারকা ফুটবলারদের ছাড়াই আর্জেন্টিনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে ব্রাজিলকে। মার্কিনিয়োস মনে করিয়ে দিলেন, তারাও (আর্জেন্টিনা) খারাপ সময় পার করে আজ এ অবস্থায় এসেছে। ব্রাজিল অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের ভাবনা ঠিকঠাক রাখতে হবে। আগে ওদেরও খারাপ সময় ছিল, ওরা তা কাটিয়ে উঠেছে। আমরাও তা করতে পারি।’
কিন্তু ম্যাচের আগে রাফিনহা-ভিনিরা আর্জেন্টিনাকে উড়িয়ে দেওয়ার হুংকারই দিয়েছিলেন। ভিনি বলেছিলেন, আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জিতে তারপর ঘুমাবেন। আর রাফিনহা বলেছিলেন, আর্জেন্টিনাকে মাঠে এবং মাঠের বাইরে হারাবেনই। করবেন গোলও। কিন্তু এর কিছুই করে দেখাতে পারেননি।