আইসিসি স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সাকিব আল হাসান সবশেষ খেলেছেন ২০২৪ সালের ৩০ নভেম্বর। এরপর কেটে গেছে ১১০ দিন। এর মধ্যে তিনি শ্রীলঙ্কায় লংকা টি-টেন লিগে গল মার্বেলসের হয়ে খেলেছিলেন। তবে বোলিং নিষিদ্ধ থাকায় খেলেছিলেন ব্যাটার হিসেবে।
আইসিসি গতকাল সাকিবের বোলিং অ্যাকশন বৈধ ঘোষণা করার পর বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটারসহ কোচদের মধ্যে স্বস্তি দেখা গেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) এক বিজ্ঞপ্তিতে সেটা নিশ্চিত করেছে। বিসিবির একাডেমি ভবনে আজ সংবাদমাধ্যমকে শেখ মেহেদী বলেন, ‘সাকিব ভাই নিজের বোলিং নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। এত বড় ক্রিকেটার, এত বছর ক্রিকেট খেলার পর শেষদিকে এসে তার বোলিংয়ে সমস্যা ধরা পড়েছিল। কাল সংবাদটা দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। আশা করি, তিনি দ্রুত ক্রিকেটে ফিরবেন, আমাদের দেশের হয়ে খেলবেন এবং ঘরোয়া লিগেও অংশ নেবেন।’
ভারত সফরের সময় কানপুর টেস্টে সাকিবের টেস্ট থেকে অবসরের খবর হান্নানই প্রথম জানিয়েছিলেন সামাজিক মাধ্যমে। সাকিব অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায় থেকে মুক্তি পাওয়ায় আজ সংবাদমাধ্যমকে হান্নান বলেন, ‘সাকিব পাশ করেছে মানে সে এখন পূর্ণ অলরাউন্ডার হিসেবে ফিরে এল। এত দিন কেবল ব্যাটিং করার সুযোগ ছিল। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে সে বোলিংয়ের জন্য প্রস্তুতই ছিল। তিন দিন আগেই আমার সঙ্গে তার কথা হয়েছিল। যদি দেশে থাকতেন, তাহলে এখানেই বোলিং শুধরানোর কাজ করতে পারতেন। তবে এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিংয়ের বৈধতা ফিরে পাওয়াটা বড় স্বস্তির খবর।’
অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায় থেকে মুক্তি পেলেও দেশের ক্রিকেটে সাকিব ফেরার সুযোগ কবে পাবেন, সেটি এখনো অনিশ্চিত। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন বলে জানা গেছে।