বিশ্বকাপের শুরু থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে পিচ নিয়ে অভিযোগ ছিল অনেকের। গতকাল তো বড় এক বোমাই ফাটিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেইল অনলাইন। আইসিসির অনুমতি না নিয়ে ভারত সেমিফাইনালের পিচ পরিবর্তন করেছে বলে এক বিশেষ প্রতিবেদন করেছে সংবাদমাধ্যমটি।
স্পিনাররা যেন সুবিধা পান, তাই ব্যবহৃত পিচে ভারত ম্যাচ নিয়েছে। কিন্তু নিউজিল্যান্ডকে হারানোর ম্যাচে দেখা যায় তেমন কোনো সুবিধাই পাননি দুই দলের স্পিনাররা। তাই পিচ পরিবর্তন নিয়ে যাঁরা কথা বলছেন, তাঁদের ধুয়ে দিয়েছেন সুনীল গাভাস্কার। অভিযোগকারীদের ‘নির্বোধ’ বলে সম্বোধন করেছেন ভারতীয় কিংবদন্তি।
গতকাল কিউইদের ৭০ রানে হারিয়ে ১২ বছর পর ফাইনালে উঠেছে ভারত। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরেই পিচ নিয়ে অভিযোগকারীদের উদ্দেশে গাভাস্কার বলেছেন, ‘যেসব নির্বোধ বলছেন যে পিচ ভারতীয় স্পিনারদের সুবিধার্থে পরিবর্তন করা হয়েছে, আশা করি তারা চুপ করে থাকবেন। এটা আজেবাজে কথা। দুই দলের জন্য সমান ছিল।’
মেইল অনলাইনের প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে, ভারত যদি বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে, তাহলে আহমেদাবাদের পিচও পরিবর্তন করা হতে পারে। এ নিয়ে বলতে গিয়ে গাভাস্কার বলেছেন, ‘পিচ নিয়ে আজেবাজে কথা বন্ধ করুন। যখন দ্বিতীয় সেমিফাইনালই শেষ হলো না, তখন দেখি অনেকে আহমেদাবাদের পিচের বিষয়েও কথা বলা শুরু করে দিয়েছেন।’
সংবাদমাধ্যমটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারত-নিউজিল্যান্ডের শেষ চারের ম্যাচটি পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ওয়াংখেড়ের ৭ নম্বর উইকেটে হওয়ার কথা। এই মাঠে এখন পর্যন্ত হওয়া লিগ পর্বের চার ম্যাচের একটিও এই উইকেটে হয়নি। সেটি বিবেচনা করেই সেমির ম্যাচ হওয়ার কথা এখানে। কিন্তু ভারত স্পিনসহায়ক পিচের সুবিধা নেওয়ার জন্য ৬ নম্বর উইকেট পছন্দ করেছে, যেখানে এর আগে দুটি ম্যাচ হয়েছে। আর ফাইনালের জন্য আহমেদাবাদের ৫ নম্বর উইকেট সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু ৫ নম্বরে না হয়ে ৬ নম্বর উইকেটে হতে পারে বলে জানা গেছে।