আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জাকের আলী অনিক খেলছেন শুধু টি-টোয়েন্টি সংস্করণেই। ২০২৩ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন ১৭ ম্যাচ। সেই জাকেরের এবার হয়তো ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণেও অভিষেক হয়ে যেতে পারে।
ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দলে জাকেরের ডাক পাওয়াটা চমকই বলা চলে। কেননা সাদা বলের ক্রিকেটে তিনি পরিচিত মুখ। যেখানে বিসিবি ঘোষিত ১৬ সদস্যের দলে অলরাউন্ডারসহ হিসেবে করলে বাংলাদেশ নিয়েছে ১০ ব্যাটার। ভারত সিরিজের দল নিয়ে আজ মিরপুর শেরেবাংলায় সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন বিসিবি নির্বাচক হান্নান সরকার। জাকের কেন টেস্ট দলে সেই ব্যাখ্যায় হান্নান বলেন, ‘জাকের আলী অনিকের যে বিষয়টা আপনারা দেখবেন। আমরা একটা জিনিস মাথায় রেখেছিলাম কন্ডিশন ও প্রতিপক্ষ। সেই জায়গা থেকে পাকিস্তানে আমরা পাঁচ পেসার নিয়ে গিয়েছিলাম। এখানে আমরা পেসারের সংখ্যা কমিয়ে চারে নামিয়েছি। সেখানে ব্যাটারের সংখ্যা বাড়িয়ে একজন মিডল অর্ডার বিশেষজ্ঞ নিয়েছি।’
লিস্ট ‘এ’ ও স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে জাকের খেলেছেন ৯৩ ও ৮০ ম্যাচ। সেখানে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তিনি খেলেছেন ৪৯ ম্যাচ। ৪১.৪৭ গড়ে করেছেন ২৮৬২ রান। ৪ সেঞ্চুরির সঙ্গে করেছেন ১৯ ফিফটি। কদিন আগে পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে ১৭২ রানের ইনিংস খেলেছেন জাকের। এই ইনিংসটাই তাঁকে ভারত সিরিজের টেস্ট দলে জায়গা করে নিতে অবদান রেখেছে বলে মনে করেন হান্নান। বিসিবি নির্বাচক বলেন, ‘জাকেরের যে বিষয়টা। তাঁর পুরোনো রেকর্ড যদি দেখেন, এনসিএল, বিসিএলের মতো দীর্ঘ সংস্করণের ক্রিকেটে তাঁর রেকর্ডগুলো দেখলে একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। দীর্ঘ সংস্করণের ক্রিকেটে সে দারুণ কার্যকরী হতে পারেন। সম্প্রতি পাকিস্তানে ১৭২ রানের একটি ইনিংস খেলেছে। লম্বা সময় ধরে চমৎকার একটি ইনিংস খেলেছে। সবকিছু বিবেচনা করে জাকেরকে এক ধাপ এগিয়ে রেখেছিলাম।’
টেস্টে জাকেরের আরও আগে সুযোগ পাওয়া উচিত ছিল মনে করেন হান্নান। বিসিবি নির্বাচক বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে চোটের কারণে আগে সুযোগ হয়নি। অথবা দলে আসার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সে পারেনি।আমাদের দলের সমন্বয়ের ক্ষেত্রে মনে হয়েছে যে মিডল অর্ডারে একটা অপশন বাড়ানো দরকার। তাই মিডল অর্ডারের অপশনটা বাড়িয়েছি।’