কয়েক বছর আগেও তিনি ছিলেন উপেক্ষিত। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান রমিজ রাজা ধারাভাষ্যকার থাকাকালীন একবার বলেছিলেন, ‘সে ছক্কা মারতে জানে বা বড় শট খেলতে পারে, জানতামই না।’
যাকে নিয়ে এমন কথা, সেই মোহাম্মদ রিজওয়ান এখন পাকিস্তান দলের অপরিহার্য সদস্য। এক সময়কার ‘অচল’ রিজওয়ান এখন এতটাই ধারাবাহিক যে সবাই উল্টো প্রশ্ন করেন, ‘সে কি কোনো দিন খারাপ খেলবে না?’
রানের ফোয়ারা ছিটানো রিজওয়ান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সময়ই একের পর এক রেকর্ড গড়েছেন। এবার তো অবিশ্বাস্য এক কীর্তি গড়লেন। প্রথম ব্যাটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে এক পঞ্জিকাবর্ষে ২ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি।
করাচিতে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৪৫ বলে ৮৬ রানের মন মাতানো ইনিংস উপহার দেন রিজওয়ান। ইনিংসটি খেলার পথে অনন্য কীর্তি গড়েন তিনি।
কম যাননি অধিনায়ক বাবর আজমও। তিনি করেছেন ৭৯ রান। বাবর-রিজওয়ানের সৌজন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ২০৮ রানের বিশাল লক্ষ্যটাও ‘মামুলি’ বানিয়ে ম্যাচ জিতেছে পাকিস্তান।
এ বছর এখন পর্যন্ত রিজওয়ান তিনটি ভিন্ন দলের হয়ে খেলেছেন—পাকিস্তান, মুলতান সুলতানস ও খাইবার পাখতুনখাওয়া। ৪৫ ইনিংসে করেছেন ২০৩৬ রান। ১৭৭৯ রান নিয়ে তাঁর পরেই আছেন বাবর। পাকিস্তান অধিনায়ক টি-২০তে সবচেয়ে বেশি রান করেছিলেন ২০১৯ সালেও।
সব মিলিয়ে রিজওয়ান-বাবরের পরেই আছেন ক্রিস গেইল। ক্যারিবীয় ‘ব্যাটিং দানব’ ২০১৫ সালে করেছিলেন ১৬৬৫ রান। পরের স্থানটি বিরাট কোহলির। ২০১৬ সালে ক্যারিয়ারের সেরা সময় পার করেন সদ্য ভারতের সীমিত ওভারের ক্রিকেটের নেতৃত্ব হারানো কোহলি। মাত্র ২৯ ইনিংস খেলে করেন ১৬১৪ রান।