বিখ্যাত ঔপন্যাসিক ও ক্রীড়া লেখক কলিন বেটম্যান এক বোলারকে নিয়ে লিখেছিলেন, ‘সে খুব সহজেই সর্বস্ব নিংড়ে দিয়ে বোলিং করে। ব্যাপারটি জাদুমন্ত্রের মতো মনে হয়। যদিও ব্যাটিংয়ে সে সহজাত আন্ডারডগ, ফিল্ডিংয়ে একেবারেই বিশ্রী। শুধু বোলিং দিয়েই সে জাতীয় বীর বনে গেছে।’
বেটম্যান যাঁকে নিয়ে কথাগুলো লিখেছেন, তিনি আর কেউ নন—নব্বইয়ের দশকে ইংল্যান্ডে হাতে গোনা যে কজন নিখাদ ফাস্ট বোলার ছিলেন, তাঁদেরই একজন ডেভন ম্যালকম।
ক্রিস গেইল-উসাইন বোল্টের দেশ জ্যামাইকায় জন্ম নেওয়া ম্যালকম ১৬ বছর বয়সে পড়াশোনা করতে আসেন ইংল্যান্ডে। ক্রিকেটের প্রেমে পড়েন তখন থেকেই। কাউন্টি ক্রিকেটে অসাধারণ বোলিংয়ের সুবাদে ১৯৮৯ সালে ডাক পান জাতীয় দলে। খ্যাপাটে এই পেসারের অভিষেকও হয় সে বছরই, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মহামর্যাদার অ্যাশেজ দিয়ে।
পরের ইনিংসে নিজেই ইতিহাস গড়েন ম্যালকম। ৫৭ রানে ৯ উইকেট তুলে নিয়ে কেপলার ওয়েসেলস, হ্যান্সি ক্রনিয়ে, গ্যারি কারস্টেনদের হতভম্ব করে দেন তিনি। ম্যালকমের দুর্ধর্ষ বোলিংয়েই ইংল্যান্ড পরে ম্যাচ জিতে নেয়।
২৭ বছর আগে ম্যালকমের সেই কীর্তি টেস্ট ইতিহাসে নবম সেরা বোলিং ফিগার। অথচ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঠিক পরের ম্যাচেই দলে জায়গা হারান তিনি!
অবশ্য ম্যালকমের বাদ পড়ার পেছনে যুক্তিসংগত কারণ ছিল। জলবসন্ত হওয়ায় তাঁকে বিবেচনা করেনি ইংলিশ বোর্ড। কিন্তু বাংলাদেশ সিরিজে আজাজকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে অদ্ভুত যুক্তি দাঁড় করিয়ে। পরশু দল ঘোষণার পর নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (এনজেডসি) জানিয়েছে, ঘরের মাঠে কন্ডিশন স্পিনারদের জন্য অনুকূল না হওয়ায় বিশেষজ্ঞ স্পিনার রাখা হয়নি। তাই ভারতের বিপক্ষে বীরোচিত পারফরম্যান্সের পরও সুযোগ হয়নি বাঁহাতি স্পিনার আজাজের।
মুমিনুল হক-মুশফিকুর রহিমদের বিপক্ষে স্পিন অলরাউন্ডার হিসেবে শুধু রাচিন রবীন্দ্রকে রাখা হয়েছে। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু হবে ১ জানুয়ারি থেকে।