২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে গতকাল দল ঘোষণা করেছে ভারত। দল ঘোষণা করতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) বেশ গলদঘর্ম অবস্থাই হয়েছে বলতে হচ্ছে। ঋষভ পন্ত, শিবম দুবের মতো ক্রিকেটাররা এবারের আইপিএলে দারুণ ছন্দে আছেন। জায়গা করে নিয়েছেন বিশ্বকাপ দলে। অন্যদিকে লোকেশ রাহুল, রিংকু সিংয়ের মতো তারকাদের জায়গা হয়নি ভারতের বিশ্বকাপ দলে।
১৫ সদস্যের দলে না থাকলেও রিংকু আছেন রিজার্ভ দলে। রিংকুর সঙ্গে রিজার্ভে আছেন ভারতের আরেক তারকা ব্যাটার শুবমান গিল। ভারতের বিশ্বকাপ দল ২০২৪ আইপিএলের ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন রোহান গাভাস্কারের। যেখানে রিংকুর মতোই এবারের আইপিএলে অফফর্মে হার্দিক পান্ডিয়া, মোহাম্মদ সিরাজ, সূর্যকুমার যাদবরা। হার্দিকের নেতৃত্বে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস এবারের আইপিএলে হতাশাজনক পারফরম্যান্স করছে। ব্যাটিং-বোলিং কোনোটিতেই প্রভাব ফেলতে পারছেন না হার্দিক। হার্দিকের মুম্বাই সতীর্থ সূর্যকুমার যাদব ধারাবাহিক পারফর্ম করতে পারছেন না এবারের আইপিএলে। পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর জার্সিতে পেসার সিরাজ বেশ খরুচে বোলিং করছেন। ৯.৫০ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৬ উইকেট।
মুম্বাইয়ে ব্যর্থ হার্দিককে করা হয়েছে ভারতের ২০২৪ বিশ্বকাপ দলের সহ-অধিনায়ক। সূর্যকুমার, সিরাজও জায়গা করে নিয়েছেন বিশ্বকাপে ভারতের মূল দলে। ক্রিকবাজে এক আলাপকালে রোহান বলেন, ‘যদি ২০২৪ আইপিএল মানদণ্ড হয়, তাহলে মোহাম্মদ সিরাজ আরসিবির জন্য কোথায় উইকেট পেল? সূর্যকুমার যাদব, যে আমার দলে সব সময় ছিল এবং সে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে থাকা উচিত ছিল। তবে এমনকি সে পারফর্মও করতে পারেনি মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের জন্য।’
রোহানের উত্তর শেবাগ দিয়েছেন ভিন্নভাবে। শেবাগের মতে, দল নির্বাচনে অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সূর্যকুমার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন ৬০ ম্যাচ ও রিংকু ভারতের জার্সিতে খেলেছেন ১৫ ম্যাচ। এ কারণেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই মুহূর্তে ভারতীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গড় (৮৯) থাকা সত্ত্বেও রিংকুর জায়গা হয়নি। ভারতীয় বাঁহাতি ব্যাটার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং করেছেন ১৭৬.২৩ স্ট্রাইক রেটে। শেবাগ বলেন, ‘কয়েক খেলোয়াড় খ্যাতির ওপর ভিত্তি করে চলছে। সূর্যকুমারের মতো খেলোয়াড়ের খ্যাতি রয়েছে যে বিস্ফোরক ব্যাটার। হ্যাঁ, তার খারাপ দিন যেতে পারে। রিংকু সিংও তেমন। পার্থক্য হচ্ছে যে সে (রিংকু) তরুণ এবং সূর্যকুমার অভিজ্ঞ। ভারতীয় নির্বাচকেরা অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দিয়েছেন। রিংকু তরুণ। পরেও খেলতে পারবে।’
২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১৪ মাস খেলেননি কোহলি ও রোহিত। এমনকি ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোহলি দল পাবেন কি পাবেন না, তা নিয়ে চলছিল আলাপ-আলোচনা। এবারের আইপিএলে কোহলি এরই মধ্যে ৫০০ রান করলেও ১৪৭.৪৯ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করছেন। যেখানে অন্য দলের ওপেনাররা কোহলির চেয়ে ঝোড়ো গতিতে ব্যাটিং করছেন এবার। শেবাগ বলেন, ‘আমরা গত বিশ্বকাপের পর বলেছিলাম যে রোহিত ও বিরাট ২০২৪ সালে খেলবে না। তবে এবার আমি নিশ্চিত তারা পরেরটা খেলবে না।’