রাওয়ালপিন্ডি থেকে চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়াম—দূরত্ব প্রায় ২ হাজার ৪০০ কিলোমিটার। পাকিস্তানের পর এবার ভারত কাঁপাচ্ছেন হাসান মাহমুদ। চেন্নাইয়ের মেঘলা আবহাওয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে সুইং আদায় করে নিচ্ছেন হাসান। ভারতীয় ব্যাটারদের যেন নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে হাসানকে সামলাতে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হাসানের পথচলা চার বছরের। চেন্নাইয়ে ভারতের বিপক্ষে টেস্টটা বাংলাদেশের জার্সিতে তাঁর ৪৪ ম্যাচ। বেশির ভাগ ম্যাচই তিনি খেলেছেন সাদা বলের ক্রিকেটে (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি)। সেই তুলনায় টেস্ট অভিজ্ঞতা বেশিদিনের নয়। ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট খেলতে এসে কাঁপিয়ে দিচ্ছেন ভারতের ব্যাটারদের।
চেন্নাইয়ে আজ শুরু হওয়া সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান হাসান দিচ্ছেন দারুণভাবে। প্রথম সেশনেই রোহিত শর্মা, শুবমান গিল, বিরাট কোহলি—তিন ব্যাটারকে ফিরিয়ে ভারতকে বেকায়দায় ফেলেন। ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ভারত যখন অথৈ সাগরে হাবুডুবু খেতে থাকে, তখন হাল ধরেন ঋষভ পন্ত ও যশস্বী জয়সওয়াল। লাঞ্চের পর এই জুটিও ভেঙেছেন হাসান।
বাংলাদেশের পেসার বুদ্ধি করে আউট করেন পন্তকে। ২৬তম ওভারের তৃতীয় বলে পয়েন্ট দিয়ে কাট শটে ৪ মারেন পন্ত। পরের বলেই হাসানের ফাঁদে পা দেন তিনি। একইভাবে খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের তালুবন্দী হয়েছেন। চতুর্থ উইকেটে ৯৯ বলে ৬২ রানের জুটি গড়েন পন্ত-জয়সওয়াল।
চার টেস্টের ক্যারিয়ারে হাসান নিয়েছেন ১৭ উইকেট, যা বাংলাদেশের জন্য বিরল কীর্তি। এর আগে বাংলাদেশের কোনো পেসারই ক্যারিয়ারে প্রথম চার টেস্টে ১৭ উইকেট নিতে পারেননি। আরেক উইকেট পেলে টেস্টে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টানা দুই ম্যাচে ৫ উইকেট শিকারের মাইলফলক ছোঁবেন হাসান।
আরও পড়ুন: হাসানের তোপে দিশেহারা ভারত