অধিনায়ক হিসেবে মহেন্দ্র সিং ধোনির রেকর্ড বেশ সমৃদ্ধ। অধিনায়ক হিসেবে প্রায় সব শিরোপাই জিতেছেন। যদিও অধিনায়কত্বকে বিদায় বলেছেন আগেই। অনেকের কাছে ধোনিই সর্বকালের সেরা অধিনায়ক। বিশেষ করে সাদা বলের ক্রিকেটে। রবি শাস্ত্রীও কোনো রাখঢাক না রেখে সে কথাই বললেন। তাঁর কাছে সাদা বলের ক্রিকেটে ধোনিই সর্বকালের সেরা অধিনায়ক।
টেস্ট ক্রিকেট থেকে সেই ২০১৪ সালে অবসর নিয়েছেন ধোনি। অবসর নিয়েছেন ওয়ানডে থেকেও। এখনো আনুষ্ঠানিক অবসর ঘোষণা বাকি রেখেছেন শুধু টি-টোয়েন্টিতে। এই সংস্করণে আর তাঁর খেলার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। যদিও বিরাট কোহলিদের মেন্টর হিসেবে এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে থাকছেন। বিচক্ষণ ধোনিকে বিশ্বকাপে কাজে লাগাতে চায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
এই বিচক্ষণতা দিয়ে সাদা বলের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন ধোনি। অধিনায়ক হিসেবে সম্ভাব্য সব শিরোপাই জিতেছেন। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক তিনি। ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপে তাঁর হাত ধরে ২৮ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে শিরোপা জেতে ভারত। ২০১৩ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও তাঁর অধিনায়কত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত।
সম্প্রতি এক আলাপচারিতায় সেই ধোনির প্রশংসা ঝরল শাস্ত্রীর কণ্ঠে, ‘সাদা বলের ক্রিকেটে সর্বকালের সেরা অধিনায়ক ধোনি। আইসিসি টুর্নামেন্টগুলোয় তার রেকর্ড দেখুন। সে কোনটি জেতেনি! আইপিএল, চ্যাম্পিয়নস লিগ, সব আইসিসি টুর্নামেন্ট, দুটি বিশ্বকাপ। সাদা বলের ক্রিকেটে তার কাছাকাছিও কেউ নেই। অবশ্যই সে সর্বকালের সেরা।’
অধিনায়ক ধোনির সবচেয়ে বড় গুণ ভাবা হয় মাঠে শান্ত থাকতে পারা। শাস্ত্রীও সেই কথা তুলে ধরলেন, ‘ধোনিকে যখন নেতৃত্ব দিতে দেখেন… এখন যেমন চেন্নাই সুপার কিংসকে দিচ্ছে, একটা নিশ্চয়তা ও স্থিরতা ফুটে ওঠে ওর মধ্যে। ব্যাপারটা এমন যে সবকিছু তার নিয়ন্ত্রণে আছে। প্রতিপক্ষ হয়তো চার-ছক্কা মারছে, তার পরও এই অনুভূতি হয় যে পরিস্থিতি নাগালের মধ্যে আছে।’