এবারের মৌসুমটা দুর্দান্ত কাটছে ইভান টনির। এখন পর্যন্ত ৩৩ ম্যাচে ২০ গোল করেছেন ব্রেন্টফোর্ডের স্ট্রাইকার। কিন্তু দুর্দান্ত পারফরম্যান্সটা এখানেই থামাতে হচ্ছে তাঁকে। অতীতে বেটিং আইন ভঙ্গ করায় শাস্তিস্বরূপ আট মাসের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) থেকে।
শুধু নিষিদ্ধই হননি, সঙ্গে ৬৭ লাখ টাক জরিমানাও গুনেছেন টনি। এতে করে আগামী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ইংল্যান্ডের কোনো ক্লাবের হয়েই খেলতে পারবেন না ২৭ বছর বয়সী তারকা। নিষেধাজ্ঞাটা সারা বিশ্বে করার চিন্তাও করছে এফএ। এর জন্য খুব শিগগিরই ফিফার কাছে আবেদন করবে বলে জানিয়েছে এফএ।
স্বাধীন নিয়ন্ত্রক কমিশনের মাধ্যমে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে টনিকে। তাঁর বিরুদ্ধে ২৩২ বার বেটিং আইন ভঙ্গের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে কমিশন কর্তৃপক্ষ। ২০১৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত অপরাধগুলো করেছেন তিনি।
রায় শোনার পর সামাজিক মাধ্যমে হতাশা প্রকাশ করেছেন টনি। তবে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চান না তিনি। স্ট্রাইকার লিখেছেন, ‘আট মাসের নিষেধাজ্ঞা শুনে স্বাভাবিকভাবেই হতাশ হয়েছি। কমিশনের লিখিত রায় এখনো পাইনি। তাই এখনই কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।’
কমিশনের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ থাকছে টনির। এক বিবৃতি দিয়ে সেই সুযোগ নেওয়ার কথাও জানিয়েছে তাঁর ক্লাব ব্রেন্টফোর্ড। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘লিখিত রায় হাতে পাওয়ার পর তা পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
শৈশব থেকেই প্রতিভাবান ছিলেন টনি। কিন্তু সিনিয়র পর্যায়ে এসে ছাপটা রাখতে পারেননি। তবে দেরিতে হলেও গত মৌসুম থেকে নিজের প্রতিভা দেখানো শুরু করেন ইংল্যান্ডের ফুটবলার। গত মৌসুমের ১২ গোলের বিপরীতে এবার ইতিমধ্যে ২০ গোল করেছেন। ছন্দের জন্যই গত মার্চে ইংল্যান্ড জাতীয় দলেও অভিষেক হয় তাঁর। সম্ভাবনা ছিল আগামী ইউরোর বাছাই দলে থাকারও। কিন্তু এই শাস্তি সবকিছু ভেস্তে দিল। এতে অভিষেক ম্যাচেই শেষ হতে পারে তাঁর ইংল্যান্ডের ক্যারিয়ার।