বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনার গ্যালারি ভরে গেছে দর্শকে। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় দাঁড়িয়েও খেলা দেখেছেন দর্শক। এমন ভরা গ্যালারিতেই কিনা তুমুল হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন দর্শকদের দুই পক্ষ।
আজ শনিবার বসুন্ধরা কিংস-মোহামেডান ম্যাচের তখন প্রথমার্ধ চলছে। সুমন রেজা ও অধিনায়ক রবসন রবিনহোর গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে স্বাগতিক বসুন্ধরা। ম্যাচের ৪০ মিনিটে মাঠ থেকে হঠাৎ করে সবার চোখ তখন চলে গেল গ্যালারির দিকে। এক জোট হয়ে এক দর্শককে পেটাতে দেখা গেল বসুন্ধরা এক দল সমর্থককে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে সেই যাত্রায় মারামারিতে বিরতি পড়লেও কিছুক্ষণ বাদে দলবল নিয়ে আবারও হাতাহাতিতে জড়ালেন মার খাওয়া সেই দর্শক। একটা সময় মারামারির উত্তাপ ছড়াল পুরো গ্যালারিতে। পুলিশ শুরুতে থামানোর চেষ্টা করলেও পরে তাদেরকেও দেখা গেল হাতাহাতিতে জড়াতে। প্রথমার্ধের বিরতির সময় স্টেডিয়ামের বাইরেও হাতাহাতি করেছেন ‘দাঙ্গাবাজ’ এই দর্শকেরা।
হাতাহাতিতে জড়ানো দর্শকেরা আদতে কোনো দলের সমর্থক সেটা অবশ্য জানা যায়নি। অথচ লিগ ফুটবলে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে দর্শকদের মাঠে প্রবেশের ব্যাপারে কোনো ঘোষণা আসেনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কারণে।
গ্যালারির সেই উত্তাপ ছড়িয়েছে মাঠেও। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই রবসনকে ফাউল করা নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। রেফারি ফাউলের বাঁশি বাজানোর পর রবসনের মাথায় বল মেরে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মিডফিল্ডার অনিক হোসেন। এর আগে ম্যাচের ১৪ মিনিটে প্রথম হলুদ কার্ড দেখেছিলেন তিনি।
নিজদের মাঠে ১১ মিনিটে প্রথম গোল বসুন্ধরার। মাঝমাঠ থেকে বিপলু আহমেদ বল বাড়ান মো. ইব্রাহিমের কাট ব্যাকে ব্যাকহিল করে সুমন রেজার কাছে বল পৌঁছে দেন মাহাদি ইউসুফ খান। ফাঁকাতেই দাঁড়িয়ে ছিলেন, জোরের সঙ্গে নেওয়া তাঁর ডান পায়ের শট পোস্টে লেগে জালে জড়ালে বসুন্ধরার জার্সিতে প্রথম গোল পান সুমন।
প্রথম গোলের আট মিনিট পরেই ব্যবধান বাড়ান বসুন্ধরা অধিনায়ক রবসন রবিনহো। ১৯ মিনিটে একক নৈপুণ্যে মোহামেডানের দুই ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে কোনাকুনি শটে লিগে নিজের ষষ্ঠ গোলটি তুলে নেন রবসন। সাত ম্যাচে ১৮ পয়েন্টে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে বসুন্ধরা। লিগে দ্বিতীয় হারে ৯ পয়েন্টে টেবিলের ছয়ে মোহামেডান।