৩৮ পেরিয়ে ৩৯ ছুঁই ছুঁই লুকা মদরিচ। বয়স যে শুধুই একটি সংখ্যা—এই প্রবাদের সার্থকতা প্রমাণ করলেন গত রাতে। সেভিয়ার বিপক্ষে ড্র যখন মনে হচ্ছিল, সে সময় দুর্দান্ত এক গোলে রিয়ালকে জয় এনে দিলেন মদরিচ। তাতে লা লিগা জয়ের সম্ভাবনা আরও একটু উজ্জ্বল হলো দলটির।
লা লিগায় গত রাতে সেভিয়ার বিপক্ষে অবশ্য দাপট দেখিয়ে খেলে রিয়াল। ৬৪ শতাংশ বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের লক্ষ্য বরাবর ৬ শট করে কার্লো আনচেলত্তির দল। অন্যদিকে সেভিয়া বল দখলে রেখেছিল ৩৬ শতাংশ আর প্রতিপক্ষের লক্ষ্য বরাবর তাদের শট ১ টি। ম্যাচে ১০ মিনিটে লুকাস ভাসকেজের গোলে এগিয়েও গিয়েছিল রিয়াল। এরপর সেভিয়ার ফুটবলাররা ঘিরে ধরেন রেফারিকে। তাদের মতে, গোলটা হওয়া উচিত না। যেখানে সেভিয়ার ফরোয়ার্ড এন নেসিরিকে ফাউল করেন মাদ্রিদ ডিফেন্ডার নাচো। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) মাধ্যমে দেখলে বাতিল হয়ে যায় সেই গোল। এরপর একের পর এক গোলের সুযোগ তৈরি করেও কাজে লাগাতে পারেনি রিয়াল। কখনো ঠিকঠাক পাসের অভাব, কখনোবা সেভিয়া গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি আনচেলত্তির রিয়াল।
রিয়ালের সুযোগ মিসের মহড়ার মধ্যে ৭৫ মিনিটে নাচোর বদলে মাঠে নামানো হয় মদরিচকে। এই মদরিচ ডি বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের শটে ৮১ মিনিটে দুর্দান্ত গোল করেন মদরিচ। শেষ পর্যন্ত সেভিয়াকে ১-০ গোলে হারায় রিয়াল। এই জয়ে লা লিগায় টানা ২০ ম্যাচ অপরাজিত থাকার কীর্তি গড়ল রিয়াল। একই সঙ্গে লা লিগায় পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান পোক্ত করল দলটি। ২৬ ম্যাচে ২০ জয়, ৫ ড্র ও ১ পরাজয়ে ৬৫ পয়েন্ট এখন রিয়ালের। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বার্সেলোনার পয়েন্ট ৫৭। তারাও খেলেছে ২৬ ম্যাচ। ২৫ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে জিরোনা। চারে থাকা আতলেতিকো মাদ্রিদের ২৬ ম্যাচ শেষে পয়েন্ট ৫২।
রিয়ালকে অসাধারণ এক জয় এনে দেওয়া মদরিচের প্রশংসা করেন দলটির কোচ আনচেলত্তি। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে রিয়াল কোচ বলেন, ‘মদরিচের এটা প্রাপ্য ছিল। সে দুর্দান্ত এক গোল করেছে। যখনই সে এসেছে, দলের জন্য অবদান রেখেছে। তাকে বেঞ্চে বসিয়ে রাখা কঠিন। যেভাবে সে প্রতিদিন অনুশীলন করে, পুরো দলের জন্য সে এক উদাহরণ।’ তবে এবারের মৌসুমে রিয়ালের মূল একাদশে নামার সুযোগ হয়েছে ১১ ম্যাচে। রিয়ালের জার্সিতে তিনি জেতেন ২৪ ম্যাচ। যার মধ্যে পাঁচবার জেতেন চ্যাম্পিয়নস লিগ।