এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) নতুন নিয়মানুযায়ী ক্লাব পর্যায়ের টুর্নামেন্টগুলোয় যেকোনো ক্লাব প্রতি ম্যাচে খেলাতে পারবে ছয় বিদেশি। ক্লাব ইগলসের বিপক্ষে আগামী পরশু এএফসি কাপের প্রাক্-বাছাইয়ের ম্যাচের আগে তাই আবাহনী লিমিটেডের মাঠ বিদেশি ফুটবলারের আধিক্য।
এএফসি কাপের জন্য যেখানে ছয় বিদেশি হলেই চলে আবাহনী সেখানে বিদেশি নিয়েছে ১০ জন। সিলেটে ক্লাব ইগলসের বিপক্ষে ম্যাচের আগে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী পাঁচ বিদেশির ব্যবস্থা করেছে আকাশি-নীলরা। বাকি পাঁচ বিদেশি ধারে এসেছেন বিপিএলের অন্য দলগুলো থেকে।
আবাহনী বাংলাদেশের ক্লাব, খেলাটাও হবে দেশের মাঠে। নিজের দেশের মাঠে এএফসি কাপে সেই বাংলাদেশিরাই দর্শক। ১১ ফুটবলারের খেলায় আবাহনী খেলাতে পারবে মাত্র ৫ স্থানীয় ফুটবলার। অনুশীলনেও বাংলাদেশিরা কিছুটা ‘কোণঠাসা’। এ বাস্তবতা মেনেই সেরা একাদশে জায়গা পাওয়ার লড়াইয়ে নামতে হবে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম-মো. হৃদয়দের। দলের ডিফেন্ডার রহমত মিয়া বলেন, ‘১০ বিদেশির মধ্যেও প্রতিযোগিতা চলছে। আবাহনীতে আমরা অনেক স্থানীয় ফুটবলার আছি। আমাদের মধ্যে সেরা পাঁচজন জায়গা পাবে। এখানেও প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতা হলে সেটা দলের জন্যই ভালো।’
মালদ্বীপের ক্লাব ইগলসের সঙ্গে খেলতে আজ সিলেটে যাবে আবাহনী। সেখানে আগেই অনুশীলন করছে ইগলস। ১৬ আগস্ট ম্যাচ জিততে পারলে ২২ আগস্ট আবাহনীর প্রতিপক্ষ ভারতের মোহনবাগান। বাংলাদেশে গত কদিন টানা বৃষ্টিতে সিলেট স্টেডিয়ামের মাঠ কর্দমাক্ত হয়ে আছে। বিষয়টি ইতিবাচক বলেই মনে করেন আবাহনী কোচ মারিও লেমোস, ‘বাংলাদেশি খেলোয়াড়েরা কাদা-বৃষ্টির মধ্যে খেলে অভ্যস্ত। এটা আমাদের জন্য সুবিধার। আমাদের নতুন কয়েকজন বিদেশি আছে, তাদের দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে।’