মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়—মুনীর চৌধুরীর কবর নাটকের বিখ্যাত সংলাপটি এবার জীবিত আর মৃত ম্যারাডোনার পার্থক্য বোঝাতে সামনে আনাই যায়।
ফুটবল নক্ষত্র ডিয়েগো ম্যারাডোনা ওপারের বাসিন্দা হয়েছেন এক বছর হলো। এত অল্প সময়েই তাঁর ব্যবহৃত জিনিসপত্রের কদর কমতে শুরু করেছে। আর্জেন্টাইন মহাতারকার গাড়ি-বাড়ি কেনার লোক পাওয়া যাচ্ছে না, ভাবা যায়!
ম্যারাডোনার প্রায় ৯০টি জিনিস নিলামে তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এক সংস্থাকে। গত রোববার শেষ হওয়ার কথা ছিল সেই নিলামের। তবে একাধিক দামি জিনিস বিক্রি না হওয়ায় নতুন করে নিলাম ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
নিলামে সব থেকে বেশি দাম হাঁকা হয়েছিল ম্যারাডোনার একটি ছবির। সেটি চিত্রশিল্পী লু সেদোভার আঁকা। ছবিটির দাম ওঠে ২ হাজার ১৫০ মার্কিন ডলার (১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা)। আর ম্যারাডোনার সঙ্গে ফিদেল কাস্ত্রোর ছবি বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৬০০ মার্কিন ডলারে (১ লাখ ৩৭ হাজার টাকা)। ছবিটি কিনেছেন দুবাইয়ের এক ব্যক্তি। কিংবদন্তি ফুটবলারের নাপোলির জার্সি, প্যান্ট, কিউবান চুরুটও বিক্রি হয়েছে এই নিলামে।
তবে ম্যারাডোনার তাঁর বাবা-মাকে বুয়েন্স আয়ার্সে যে বাড়িটি দিয়েছিলেন, সেটি কেউ কিনতে চাননি। বাড়িটির সর্বনিম্ন মূল্য ছিল ৯ লাখ মার্কিন ডলার (৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা)। ম্যারাডোনার দুটি বিএমডব্লিউ গাড়িও অবিক্রীত রয়ে গেছে।
তিন ঘণ্টা ধরে চলা নিলাম থেকে আসে ২৬ হাজার মার্কিন ডলার (২২ টাকা ২৮ হাজার টাকা)। অবিক্রীত থেকে যায় ১ দশমিক ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের (১২ কোটি টাকার কাছাকাছি) জিনিস।
অনলাইনে হওয়া এই নিলামে অনেকেই অংশ নিতে পারেননি বলে মনে করা হচ্ছে। সে কারণে নিলামের দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিলামকারী সংস্থা।