নিজের উইম্বলডন ট্রফি খুঁজে পাচ্ছেন না বরিস বেকার। বাধ্য হয়ে আদালতের কাছে তাঁকে এটাই বলতে হলো। কারণ, সাবেক এই টেনিস তারকাকে ২০১৭ সালে দেউলিয়া ঘোষণা করেছিল ব্যাংক। ছয়বারের গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী বেকার আদালতের কাছে জানিয়েছেন, উইম্বলডন ট্রফি খুঁজে পেলে তিনি তা দিয়ে দেবেন।
বেকারের সম্পত্তির মধ্যে আছে ৯টি ট্রফি ও পদক, যা তিনি গ্র্যান্ড স্লামসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় জিতেছিলেন। এর মধ্যে অনেক ট্রফির ব্যাপারে আদালতে কিছুই জানাননি তিনি। তাঁর নামে আদালতে ২৪টি অভিযোগ আছে, যার সবই তিনি অস্বীকার করেছেন। আদালতে সাবেক এক নম্বর এই জার্মান টেনিস তারকা জানিয়েছেন, আর্থিক অবস্থা ফেরাতে তিনি তাঁর সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছেন।
বেকার জানিয়েছেন, তাঁর জেতা অনেক ট্রফি, পদক ও স্মারক হারিয়ে গেছে। কোথায় ট্রফি রেখেছেন, তা জানতে চাইলে বেকার বলেন, ‘এই মুহূর্তে কোথায় ট্রফিগুলো রয়েছে তা মনে রাখার মতো মানসিক অবস্থা নেই।’
বেকার জানান, যেকোনো খেলোয়াড়ের কাছে জেতাটাই মুখ্য, শিরোপা নয়। তাই খেলোয়াড়ি জীবনে তিনি সেদিকেই বেশি মনোযোগ দিয়েছেন, ‘খেলোয়াড়দের কাছে জেতাটাই শেষ কথা। খেলার সময় জেতাটাই প্রাধান্য পায়। ট্রফি অতটা গুরুত্ব পায় না। এখন মনে হয়, আমার সন্তানদের তা দেখাতে হবে।’
বেকারের আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়া শুরু হয় ২০১৪ সালে। সেই বছর আর্থিক দুরবস্থায় পড়লে ১২ লাখ পাউন্ড (১১ কোটি টাকারও বেশি) ২৫ শতাংশ সুদে ধার নিয়েছিলেন ধনকুবের জন কডওয়েলের কাছ থেকে। তার পরের বছরই বেসরকারি ব্যাংক থেকে ৩.৮৫ মিলিয়ন পাউন্ড (৩৮ কোটি টাকারও বেশি) ধার নেন। আদালতে বেকার জানিয়েছেন, স্পেনের মায়োরকায় কেনা তাঁর সম্পত্তি তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন দেনা শোধ করার জন্য। এ ছাড়াও আদালতকে বেকার বলেছেন, তাঁকে এভাবে দেউলিয়া ঘোষণা করায় তাঁর ভাবমূর্তি যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, একইসঙ্গে তাঁর আয়ও কমেছে।