দুবাইয়ে পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাচ্ছিলেন ইউক্রেনের সাবেক টেনিস খেলোয়াড় সার্জি স্তারকোভস্কি। কিন্তু রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে দেশমাতৃকার টানে দুবাইয়ে থাকতে পারেননি। সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধান্ত বদলে যুদ্ধে অংশ নিতে দেশে ফেরেন স্তারকোভস্কি।
স্ত্রী ও তিন সন্তানকে হাঙ্গেরিতে রেখে ইউক্রেনে যান স্তারকোভস্কি। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দায়িত্বে আছেন স্তারকোভস্কি। রাশিয়ার সৈন্য কিয়েভে ঢুকলে দেশকে বাঁচাতে যা করা প্রয়োজন, সবকিছু করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন তিনি। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে স্তারকোভস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেনের নাগরিক ও শিশুদের বাঁচানোর চেষ্টা করবেন তিনি।
স্তারকোভস্কি বলেন, ‘আমি এখানে জন্মেছি। আমার দাদা-দাদিকে এখানে কবর দেওয়া হয়েছে। আমি এমন ইতিহাস তৈরি করতে চাই, যা আমার সন্তানদের বলতে পারব। রাশিয়ার দেওয়া স্বাধীনতা আমরা চাই না। সবার স্বাধীনতা রয়েছে। রাশিয়া এই দেশকে গরিব করতে চায়।’
৩৬ বছর বয়সী স্তারকোভস্কি পরিবার ছেড়ে চলে আসায় তাঁর মধ্যে অপরাধবোধ কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত নেওয়া আমার পক্ষে সহজ ছিল না। আমার স্ত্রী রয়েছে, তিন সন্তান রয়েছে। বাড়িতে থাকলে অপরাধবোধ কাজ করত দেশে না ফেরার জন্য, এখন অপরাধবোধ কাজ করছে বাড়ি ছেড়ে আসার জন্য।’
স্তারকোভস্কি জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী এই সিদ্ধান্ত সহজে মেনে নিতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী পাগল হয়ে গিয়েছিল। আমি কেন আসছি সেটা সে বুঝতে পেরেছে। কিন্তু তার কাছে এটা বিশ্বাসঘাতকতা। আমি বুঝতে পারছি কেন ও এমন ভাবছে। আমার সন্তানদের কিছু জানাইনি। তবে ওরা হয়তো বুঝে যাবে।’