হোম > প্রযুক্তি

এআই বর্ণবাদী: নিজের পেশাদার ছবি চেয়ে এমআইটি পড়ুয়া পেলেন শ্বেতাঙ্গ তরুণীর মুখ

অনলাইন ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ছবি তৈরি আজকাল সবার আকর্ষণের কেন্দ্রতে। স্মার্টফোন দিয়ে যে কেউ সহজে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজের নানা অবতার তৈরি করতে পারেন। 

চাইলেই কেউ নিজের ছবি ব্যবহার করে নিজেকে পছন্দের সুপার হিরো রূপ দিতে পারছেন, কেউ বা নিজেকে দিচ্ছেন পেশাদার রূপ। বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে শুধু একটি নির্দেশেই এই ছবি তৈরি সম্ভব। 

বিপত্তি বাঁধে যখন এই প্রযুক্তি পছন্দের চরিত্রের রূপ দিতে গিয়ে বিশেষ জাতিগোষ্ঠীকে আলাদা গুরুত্ব দিয়ে ফেলে। তবে কি এআই বর্ণবাদী? 

গত ১৪ জুলাই টুইটারে নিজের এমনই এক অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন ২৪ বছর বয়সী এশীয়-আমেরিকান রোনা ওয়াং। তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমআইটি) গণিত ও কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ে স্নাতক করছেন। 

রোনা প্লেগ্রাউন্ড এআই নামের এক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অ্যাপ দিয়ে নিজের লিংকডইন প্রোফাইলের জন্য পেশাদার ছবি তৈরি করছিলেন। তিনি অ্যাপটিতে নিজের ছবি দিয়ে নির্দেশ দেন, ‘মূল ছবি থেকে মেয়েটিকে একটি পেশাদার লিংকডইন প্রোফাইল ছবি দিন।’ 

দ্বিতীয় ছবিতে দেখা যায়, এআই টুল তাঁর গায়ের রং আরও উজ্জ্বল ও চোখের রং বদলে নীল করে দিয়েছে। তার মুখাবয়ব পরিবর্তন করে শ্বেতাঙ্গ তরুণীর গড়ন দিয়েছে। 

তাঁর এই পোস্টের কারণে শুরু হয়েছে এআইয়ের বর্ণবাদ নিয়ে আলোচনা। সর্বপ্রথম বোস্টন গ্লোব এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। 

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইনসাইডারকে রোনা বলেন, ‘ফলাফল দেখে আমার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ছিল “বিনোদন”। আমি এ দেখে আনন্দিত যে আমার পোস্টের কারণে এআইয়ের পক্ষপাত এবং প্রযুক্তির নতুন তরঙ্গে কারা অন্তর্ভুক্ত তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘বর্ণবাদী আচরণ এআই টুলগুলোর একটি সমস্যা। আমি এআই ফটো জেনারেটর বা এডিটর ব্যবহার করে এখনো কোনো ব্যবহারযোগ্য ছবি পাইনি। তাই এখন আমার নতুন লিংকডইন প্রোফাইল ছবি ছাড়াই চলতে হবে।’ 

ওয়াং বোস্টন গ্লোবকে বলেন, তিনি এর গুরুতর পরিণাম নিয়ে চিন্তিত। কোনো কোম্পানি যদি সবচেয়ে ‘পেশাদার’ প্রার্থী নির্বাচনের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তবে তা শ্বেতাঙ্গ মানুষদের বাছাই করবে।

 
তিনি বলেন, ‘আমার মতে এটি অবশ্যই একটি সমস্যা। আশা করি, যারা এসব সফটওয়্যার বানাচ্ছে তারা এসব পক্ষপাত নিয়ে সচেতন এবং তা সমাধানের উপায় নিয়ে ভাবছে।’ 

ওয়াংয়ের এই পোস্টের উত্তরে প্লেগ্রাউন্ডের এআই নির্মাতা সুহাইল দোশী বলেছেন, ‘এই মডেলগুলো সেভাবে নির্দেশযোগ্য নয়। তাই এটি নির্দেশের ভিত্তিতে যেকোনো জাতি বা বর্ণ বেছে নেবে। দুর্ভাগ্যবশত এগুলো যথেষ্ট বুদ্ধিমান নয়!’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এতে বেশ বিব্রত এবং এর সমাধানের চেষ্টা করছি।’ 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান হাগিং ফেইসের এক গবেষণায় উঠে এসেছে, ডাল-ই ২–এর মতো এআই ইমেজ জেনারেটরগুলোর লিঙ্গ ও বর্ণবৈষম্যের সমস্যা আছে। ডাল-ই ২–এ ‘পরিচালক’ বা ‘সিইও’ পদের জন্য ছবি তৈরি করতে বললে ৯৭ শতাংশ ছবিই দিচ্ছে শ্বেতাঙ্গ পুরুষের। 

গবেষকেরা বলছে, এর কারণ হলো এআই টুলগুলো পক্ষপাতমূলক ডেটা দিয়ে তৈরি। এসব টুলের মাধ্যমে বিশ্বে বর্ণবৈষম্য আরও বাড়তে পারে।

২০৩০ সালের মধ্যে ৬০ লাখ আইটি পেশাদার তৈরি করবে সরকার

চলতি বছরে শক্তিশালী ব্যাটারি প্রযুক্তি নিয়ে আসবে যেসব অ্যান্ড্রয়েড ফোন

ফুঁ দিয়ে গরম কফি ঠান্ডা করে দেবে এই বিড়াল রোবট

এক্সের অ্যালগরিদম সম্পর্কিত তথ্য চেয়েছে ইউরোপীয় কমিশন

যুক্তরাষ্ট্রে কার্যক্রম বন্ধ হবে, তবু বিক্রিতে রাজি নয় টিকটক

সরকারি কর্মকর্তাদের তথ্য হাতিয়ে নিতে রুশ হ্যাকারদের নয়া কৌশল

ফেসবুক প্রোফাইলে মিউজিক যুক্ত করবেন যেভাবে

স্যামসাংয়ের মিড রেঞ্জ ট্যাবের চিপসেট সম্পর্কে যা জানা গেল

সার্চ ইঞ্জিনের বাজারে আধিপত্য কমল গুগলের, মাইক্রোসফটের শেয়ার বাড়তি

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফ্যাক্টচেকিং আইন মানবে না গুগল

সেকশন