ফিচার ডেস্ক
ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে ভুয়া অ্যাকাউন্টের সংখ্যা যত বাড়ছে, মেটাও সেগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে। নিয়মিত বিরতিতে প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন ফিচার যোগ করেছে এ দুটি প্ল্যাটফর্মে। তবু ভুয়া অ্যাকাউন্টের প্রতারণা থেকে পুরোপুরি রেহাই মিলছে না। এর নেতিবাচক প্রভাব বেশ বড় পরিসরে পড়ছে বিভিন্ন ক্ষেত্রের জনপ্রিয় ব্যক্তিদের ওপর।
একজন সাধারণ ব্যবহারকারীর পক্ষে সেলিব্রিটিদের ভুয়া অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করা কঠিন কাজ। এতে অনেক সময় নেতিবাচক বা মিথ্যা অনেক তথ্য ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ থাকে। ইলন মাস্কের ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ মার্টিন লুইস পর্যন্ত এমন সমস্যার মুখে পড়েছেন। বিবিসি রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, প্রায় প্রতিদিন তাঁর কাছে আইডি হ্যাকের অসংখ্য রিপোর্ট আসত।
তারকা ও জনপ্রিয় ব্যক্তিদের কথা বিবেচনা করে মেটা এবার তাদের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে যোগ করতে যাচ্ছে চেহারা শনাক্তকরণ প্রযুক্তি।
রয়টার্সে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, প্রথম দিকে ৫০ হাজার জনপ্রিয় ব্যক্তির আইডিকে এ সুবিধার আওতায় আনা হবে। ভুয়া বিজ্ঞাপনদাতারা যদি তাদের প্রচারণায় কোনো তারকার ছবি ব্যবহার করে, সেটি প্রথমে ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম থেকে মিলিয়ে দেখা হবে। যদি সেই বিজ্ঞাপন ভুয়া প্রমাণিত হয়, তা বাতিল হয়ে যাবে।
মেটার কনটেন্ট পলিসি বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিকা বাইকার্ট জানান, এরই মধ্যে যেসব তারকার ছবি ভুয়া বিজ্ঞাপনে বেশি ব্যবহার করা হয়েছে, মেটা শুরুতে তাদের চেহারা শনাক্তকরণ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসতে চায়।
তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও এই প্রযুক্তি চালু করা হয়েছিল। তাতে হয়েছে হিতে বিপরীত। ‘ব্যক্তিগত গোপনীয়তা’ লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালে প্রযুক্তিটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিল মেটা।
প্রায় ১০০ কোটি ব্যবহারকারীর ‘ফেস স্ক্যান’-এর তথ্য মুছে দিতে বাধ্য হয়েছিল তারা। এক মামলায় অবৈধভাবে বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের অভিযোগে মেটাকে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যকে ১৪০
কোটি ডলার জরিমানা দেওয়ার আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
তবে আশা করা হচ্ছে, এবার মেটাকে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে না।
সূত্র: রয়টার্স