Ajker Patrika
হোম > ল–র–ব–য–হ

জাপানে হতাশা চর্চার বিশেষ ক্য়াফে, নারী ছাড়া প্রবেশ নিষেধ 

অনলাইন ডেস্ক

জাপানে হতাশা চর্চার বিশেষ ক্য়াফে, নারী ছাড়া প্রবেশ নিষেধ 

হতাশাবাদী মানুষেরা এক সময় নিজেকেই সমাজের অনুপযুক্ত ভাবতে শুরু করেন। তখন তাঁরা সমাজবিচ্ছিন্ন হয়ে একা থাকতে পছন্দ করেন। জনসমাগমস্থল এড়িয়ে চলেন। 

কিন্তু ক্যাফে বলতেই চোখে ভেসে ওঠে ধোয়া ওঠা কফিতে চুমুক দিতে দিতে খোশগল্পে মেতে ওঠা এক ঝাঁক মানুষের সমাবেশ। তার মানে, হতাশাবাদীদের সময় কাটানোর উপযুক্ত নয় কোনো ক্যাফে। 

হতাশা চর্চা এবং হতাশার প্রচার সব সময়ই সমাজের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করা হয়। তাই হতাশাবাদী মানুষের জন্য এগিয়ে এসেছেন বিষণ্নতা থেকে আত্মহত্যার জন্য খ্যাত দেশ জাপানের এক ব্যক্তি। তিনি নিজেও বিষণ্নতায় ভুগছেন। 

টোকিওর শিমোকিতাজাওয়া শহরে হতাশাবাদী ও নেতিবাচক মনোভাবের মানুষের জন্য তিনি চালু করেছেন বিশেষ ক্যাফে। নাম দিয়েছেন ‘নেগেটিভ ক্যাফে অ্যান্ড বার মোরি ওউচি’। দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই ক্যাফে। 

এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে ফোর্বস সাময়িকী। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যাফেটিকে হতাশাবাদীদের জন্য একটি প্রশান্তিদায়ক স্থান হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে। প্রায় এক দশক আগে এ ক্যাফেটির মালিক, যিনি নিজেই বিষণ্নতায় ভুগছেন, ভাবলেন তাঁর মতো মানসিকতার মানুষদের জন্য একটি ক্যাফে খোলা যায়। তবে তাঁর এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয় ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময়। 

খাবারের এ জায়গাতে এসে মানুষ তাঁদের বিক্ষিপ্ত মনের ভাব প্রকাশ করতে পারেন এবং জীবনের চ্যালেঞ্জিং ধাপগুলো বা নিজের হতাশামূলক চিন্তা নিয়ে ভাবতে পারেন। 

ক্যাফেটির মালিক ফোর্বস সাময়িকীকে বলেন, ‘মানুষ প্রায়ই বলে, ইতিবাচক হওয়া ভালো এবং নেতিবাচক হওয়া খারাপ। তবে আমার মনে হয় না নেতিবাচক মনোভাব অতটা খারাপ। আমার মনে হয়, অনেক নেতিবাচক মনোভাবের মানুষ তাদের আচার–আচরণে বেশ রক্ষণশীল হয়ে থাকেন, যা বলতে গেলে এক ধরনের সহানুভূতিশীলতা। আমি ভাবলাম, এ ধরনের মানুষের জন্য একটা আরামের জায়গা তৈরি করলে মন্দ হয় না।’ 

জাপানের সংবাদমাধ্যম সোরা নিউজ ২৪–এর প্রতিবেদন অনুসারে, ক্যাফেতে কাঠের সাজসজ্জা এবং ব্যক্তিগত কক্ষ রয়েছে। আলাদা কক্ষে গিয়ে খদ্দররা স্বাধীনভাবে নিজের মতো সময় কাটাতে পারেন। 

তবে এই মোরি ওউচি ক্যাফের একটা অদ্ভুত নিয়ম রয়েছে: এখানে নারীদের আসতে হয় একা, কিন্তু নারীসঙ্গী ছাড়া কোনো পুরুষ প্রবেশ করতে পারেন না! 

ক্যাফেটিতে বাইরের খাবারও আনা যায়। তবে জনপ্রতি একটি করে পানীয় সেখান থেকে অবশ্যই কিনতে হয়। প্রতিটি ৩০০ ইয়েনের পানীয়ের জন্য প্রবেশমূল্যে ১০০ ইয়েন ছাড় দেওয়া হয়। ক্যাফেটিতে অবস্থান করতে হলে প্রতি তিন মিনিটে চার্জ দিতে হবে ২০ ইয়েন। 

এ ক্যাফেটির আরেকটি মজার বিষয় হলো, এর ককটেল মেন্যুর নাম। এ ক্যাফেটির ককটেল মেন্যুর নাম অতিশয় দীর্ঘ। এমন কয়েকটি পানীয় হলো, ‘গতকাল আমি আমার অভিশপ্ত কোকেশি পুতুল গভীর জঙ্গলে মাটিচাপা দিয়ে এসেছি। কিন্তু আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি পুতুলটি আমার শেলফেই আছে’, ‘আমার বাবার একটাই ভালো দিক ছিল আর তা হলো, তিনি একজন আন্তরিক মানুষ। তবে ২২ বছর আগে তিনি হঠাৎ উধাও হয়ে যান। যাওয়ার আগে এক চিঠিতে লিখে যান “পেগাসাস বাস্তব”।’

৯৬ লাখ ডলারের স্বর্ণের কমোড চুরি হয়ে গেল ৫ মিনিটে

এটিএম কার্ড চুরি করে কেনা লটারির টিকিটে জিতলেন ৫ লাখ ইউরো, ভাগ চান মালিক

গিনেস বুকে নাম লেখাল রক্তকণিকার সমান এক ভাস্কর্য

৪০০টি ভাষায় লিখতে পড়তে পারেন ১৯ বছরের আকরাম

তিমির মুখে কিছুক্ষণ, বেঁচে ফিরে অভিজ্ঞতা জানালেন তরুণ

সমুদ্রের তলদেশে টানা ১২০ দিন, বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন জার্মান প্রকৌশলী

পচা মাংসের দুর্গন্ধযুক্ত ফুল দেখতে শত শত মানুষের ভিড়

১২ ঘণ্টায় ১ হাজার পুরুষের সঙ্গে শয্যায় তরুণী, গড়লেন রেকর্ড

স্বপ্নে পাওয়া নম্বরে লটারি জিতলেন মার্কিন নারী

বিপৎসংকেত পেয়ে এক বাড়িতে হাজির হয়ে যা আবিষ্কার করলেন নিরাপত্তাকর্মীরা