পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বরগুনার পাথরঘাটায় ভারী বর্ষণ হচ্ছে। রাতে যখন ঘূর্ণিঝড় রিমাল উপকূলে আঘাত হানবে, তখন জোয়ার থাকবে। এতে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে উপকূলীয় এই অঞ্চলে। রাত ৯টার পর থেকে বাতাসের গতিবেগ বাড়তে শুরু করে। ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে এবং বাতাসের সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টিপাতও বেড়েছে। যে কারণে উপকূলের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জানা গেছে, রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে জোয়ার শুরু হয়েছে। এখন রিমাল আঘাত হানা শুরু করে । যে কারণে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ বাতাসের সঙ্গে জোয়ারের সম্পর্ক রয়েছে। সে হিসেবে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
পাথরঘাটার বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর পাড়ের বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। তবে তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কারণ বাড়িঘর রেখে তারা আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছে। পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পাথরঘাটার ১৫৬ টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
পদ্মা আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা আ. বারেক বলেন, ‘আমরা ঘর বাড়ি রেখে সাইক্লোন শেল্টারে এসেছি। সারা রাত ঘুম আসবে না, পানি ঢুকলে বা বাতাস হলে কিছুই থাকবে না।’
হরিণঘাটা এলাকার ইয়াসিন আকন জানান, ‘হরিণঘাটা মুজিব কেল্লায় দেড় হাজার নারী পুরুষ ও শিশু আশ্রয় নিয়েছে। ইতিমধ্যে ওই এলাকার পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে।’
রাত সাড়ে ৯টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন অবস্থা খুবই খারাপ। ভারী বর্ষণ এবং ঝোড়ো হাওয়া চলছে। তবে অধিকাংশ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে। উপজেলায় ১৫৬ আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষে ভরে গেছে। এ ছাড়াও স্কুল, কলেজ, মাদরাসাসহ বিভিন্ন বাসা বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে মানুষ। ইতিমধ্যেই শুকনো খাবার দেওয়া শুরু হয়েছে।’