সরকারি গুদামে নকল সার খালাসের চেষ্টার ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যর কমিটি গঠন করেছে টিএসপি সার কারখানা কর্তৃপক্ষ। আজ শনিবার করা এই কমিটিতে টিএসপির দুজন এবং বিসিআইসির এক কর্মকর্তাকে রাখা হয়েছে।
আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টিএসপির উপ মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোহাম্মদ সোলায়মান। কমিটির সদস্যরা হলেন, টিএসপির উপপ্রধান রসায়নবিদ মো. শফিকুল কবির ও রেজাউল হক এবং বিসিআইসির উপপ্রধান হিসেবে কর্মকর্তা নির্মল কুমার দত্ত।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গার টিএসপি সার কারখানা থেকে নিয়ে যাওয়া পাঁচ ট্রাক সার যশোর বাফার গুদামে খালাস করার কথা ছিল। কিন্তু পথে সেই টিএসপি সার পরিবর্তন করে নকল সার বোঝাই করা হয় ট্রাকে। পরে সেসব সার যশোর বাফার গুদামে খালাস করার সময় ধরা পড়ে। সবগুলো ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।
জানা যায়, কিছু সারের বস্তা দেখে যশোর বাফার গুদামের ইনচার্জ মো. আখতার হোসেনের সন্দেহ হয়। তখন তিনি খালাস বন্ধ করে দেন এবং এই সার গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। পরে তিনি তাৎক্ষণিক বিষয়টি টিএসপি কর্তৃপক্ষসহ ঊর্ধ্বতনকে লিখিতভাবে জানান। অভিযোগ পাওয়ার পর এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো।
কমিটির সদস্যরা আজ শনিবার বিকেলে তদন্তের জন্য যশোর বাফার গুদামে পৌঁছেছেন। বিষয়টি জানিয়ে কমিটির সদস্য উপপ্রধান রসায়নবিদ মো. শফিকুল কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এর মধ্যেই যশোর এসে পৌঁছেছি। শিগগির তদন্তের কাজ শুরু করব।’
সূত্র জানায়, বিসিআইসির পরিবহন ঠিকাদার মেসার্স সৈয়দ এমকে এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে চট্টগ্রাম পতেঙ্গা টিএসপি সার কারখানা থেকে পাঁচ ট্রাক সরকারি সার পাঠানো হয় যশোর বাফার গুদামে। পাঁচ ট্রাকে প্রায় ৭০ টন টিএসপি সার ছিল। ট্রাকগুলো হলো-ঢাকা মেট্রো-ট-১৫-০১৩৬, ঢাকা মেট্রো-ট-১৮-০৬২১, ঝিনাইদহ-ট-১১-১৩৪৮, ঝিনাইদহ-ট-১১-০৯১৬, ঝিনাইদহ-ট-১১-০৯৮২।