ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরে প্রায় ১০ বছর আগে ক্যারম খেলাকে কেন্দ্র করে ফারুক ফকির (২৫) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মামুন শিকদার (৩৪) নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে ফরিদপুর অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতী য় আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত যুবক গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুরের বিশারী বাগজোলাল মাঠ বাহারা এলাকার ইউসুফ আলী শিকদারের পুত্র। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন।
বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি মো. রকিবুল ইসলাম বিশ্বাস।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৬ এপ্রিল জেলার ভাঙ্গা উপজেলার পীরেরচর বাজারে ক্যারম খেলার ১০ টাকা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে আসামি মামুন শিকদারকে গালিগালাজ করে নিহতের ভাতিজা আক্তার ফকির। একপর্যায়ে মামুন শিকদার উত্তেজিত হয়ে আক্তারকে কিল-ঘুষি মারে এবং কোমরে গোঁজা চাকু দিয়ে কোপ দেন। বিষয়টি দেখে ভাতিজাকে রক্ষা করতে এগিয়ে যায় ফারুক ফকির। তখন ফারুকের বুকে চাকু দিয়ে কোপ দেন আসামি মামুন। একপর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে মামুনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা।
এ ঘটনার পর ভাঙ্গা থানায় মামুনসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা শাহজাহান ফকির। এ মামলায় মামুনকে কারাগারে পাঠানো হলে পরে জামিনে বের হয়ে আসেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক মিয়া একমাত্র আসামি হিসেবে মামুন শিকদারের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. রকিবুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, তদন্তকালে একমাত্র আসামির অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে পেনাল কোড-১৮৬০–এর ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।