টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে মহিষের আক্রমণে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাত পৌনে ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তাঁরা। এর আগে গত রোববার বিকেলে হাজেরা বেগম নামে এক নারী মারা গেছেন।
নিহতরা হলেন উপজেলার লাউহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসমত আলী খান ও একই এলাকার কিতাব আলী। অপর নিহত হাজেরা বেগম উপজেলার তারুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, দেলদুয়ারের এলাসিন ইউনিয়নের বারপাখিয়া গ্রামের শরিফ মিয়া কৃষিকাজের জন্য এক জোড়া মহিষ কেনেন। গত রোববার একটি মহিষ দড়ি ছিঁড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় লাউহাটি ইউনিয়নের তারুটিয়া গ্রামের মানুষের ওপর হামলা চালায়। পরে মহিষটিকে ধরতে গিয়ে দুই ঘণ্টায় নারী-পুরুষসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে।
পরবর্তীতে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে প্রাণিসম্পদ বিভাগের পরামর্শে জনপ্রতিনিধিরা মাইকিং করে জনসাধারণকে ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন। পরে আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দেলদুয়ার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. বাহাউদ্দিন সরোয়ার রিজভী বলেন, গত রোববার সকালে মহিষের আক্রমণের খবর পেয়ে দ্রুত ঢাকা থেকে সেখানে বিশেষজ্ঞ টিম পাঠানো হয়। তবে ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই বেলা ৩টার দিকে মহিষটিকে পাগল ভেবে বাঁশঝাড়ে আটকে কুড়াল, শাবল, দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয়রা।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরও বলেন, মহিষটি আসলে পাগল ছিল না। মহিষের প্রাকৃতিক স্বভাব হলো অপছন্দের কিছু হলে উত্তেজিত হয়ে পড়া। তখন মহিষ সামনে যাকে পায় তাকেই আক্রমণ করে। এ ধরনের মহিষকে ২৪ ঘণ্টা চেতনানাশক দিয়ে রাখলেই ঠিক হয়ে যায়। সেই সুযোগ বিশেষজ্ঞ দল পায়নি।
দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির আলী মৃধা বলেন, আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজন মারা গেছেন। এর আগে গতকাল বিকেলে এক নারী মারা গেছেন। এ নিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।