মেঘনা নদীতে একটানা ১৫ থেকে ১৮ কিলোমিটার সাঁতারের রেকর্ড করেছেন নরসিংদীর রায়পুরায় উপজেলার মো. শহিদুল্লাহ (৬২) নামের এক বৃদ্ধ কৃষক। এতে তিনি সময় নিয়েছেন ৪ ঘণ্টা ৭ মিনিট। তিনি উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের দড়ি বালুয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।
আজ সোমবার সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে উপজেলার মনিপুরা ঘাট থেকে সাঁতার কাটা শুরু করেন শহিদুল্লাহ। বেলা ১১টা ৪৭ মিনিটে নরসিংদী সদর থানা ঘাটে এসে পৌঁছান। এই দুই ঘাটের দূরত্ব ১৫ থেকে ১৮ কিলোমিটার সাঁতরে পার হতে তাঁর মোট সময় লেগেছে ৪ ঘণ্টা ৭ মিনিট।
শহিদুল্লাহর সাঁতার উপভোগ করতে বিভিন্ন এলাকা থেকে বহু মানুষ রায়পুরায় আসে। তাঁকে একনজর দেখতে ছোট-বড় নৌকা, স্পিডবোট ও নদী পারে কয়েক হাজার উৎসুক জনতার ভিড় জমে। মানুষের ভিড়ে নদীর তীরে পা ফেলার জায়গা ছিল না। অত্যন্ত আনন্দমুখর পরিবেশে এ সাঁতার সম্পন্ন হয়।
সাঁতার দেখতে আসা মজনু, নয়ন মিয়া, আ. করিমসহ কয়েকজন বলেন, মেঘনা নদীতে সাঁতারের কথা শুনেই তাঁরা ছুটে এসেছেন। এর আগে এমন ঘটনা তাঁরা দেখেননি।
অনেকেই ছোট বড় নৌকা নিয়ে শহিদুল্লাহর সাঁতারের সঙ্গে আগাতে থাকেন। সাঁতরে তীরে ওঠার পর দর্শনার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত হন শহিদুল্লাহ। এ সময় ঘাটে হাজার হাজার মানুষ তাকে অভিবাদন জানায় এবং ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান।
প্রসঙ্গত, এর আগে রায়পুরা উপজেলার পল্লি চিকিৎসক বকুল ৪০ কিলোমিটার সাঁতরে রেকর্ড করেন। তার পরে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে নতুন রেকর্ড করেন ৬২ বছরের এই বৃদ্ধ কৃষক। তাকে উৎসাহ দিতে স্থানীয়রা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করছেন।
শহিদুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে রেকর্ড বুকে নাম লেখানোর ইচ্ছা ছিল। প্রতিদিন সাঁতার কাটি বলে এখনো সুস্থ জীবন যাপন করে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, বকুলের সাঁতারে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি নিজ উদ্যোগে এই কাজ করি। সরকারি বা বেসরকারি সহযোগিতা পেলে আরও বহুদূর এগিয়ে যেতে পারব। পুরস্কারের পুরো টাকাটা বাড়ির মসজিদ নির্মাণকাজে ব্যয় করব।’
আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. কবিরুল ইসলাম বলেন, আমরা চাই তাঁর এমন কৃতিত্বের জন্য সারা বিশ্বের মানুষ তাঁকে মনে রাখবে। তাঁর এই সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক।