কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছে একদল বহিরাগত। এ সময় মোবাইল ফোনে ভিডিও করার সময় এক শিক্ষানবিশ আইনজীবী আহত হয়েছেন। আজ সোমবার কুষ্টিয়া আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুল আলিম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘটনা জানার পর আদালত চত্বরে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, আগামী বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির (২০২৫-২৬) কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। এ উপলক্ষে আদালত চত্বরে নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করেছেন প্রার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আইনজীবীরা জানান, আজ বেলা ১১টার দিকে ৪০-৫০ জন বহিরাগত বিভিন্ন স্থান দিয়ে আদালত চত্বরে ঢোকে। এরপর তারা প্রার্থীদের নির্বাচনী ক্যাম্পের চেয়ার, টেবিল, প্যান্ডেলসহ ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে। এ সময় ভাঙচুরের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করতে গেলে শিক্ষানবিশ আইনজীবী মজিবুল হককে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তিনি আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আদালত চত্বরের এক চা-বিক্রেতা বলেন, যারা আদালত চত্বরে নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করছিল তাদের মধ্যে কোনো আইনজীবী বা পরিচিত মুখ দেখা যায়নি। সবাই বহিরাগত ছিল। তাদের হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না। তারা প্যান্ডেলের পাইপ, বাঁশ খুলেই ভাঙচুর শুরু করে।
এ বিষয়ে নির্বাচনে বিএনপিপন্থী সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট মাহাতাবউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ৩২ বছরের পেশাজীবনে এমন ঘটনার সম্মুখীন হয়নি। তবে এর আগে জানতে পেরেছিলাম পরাজিত শক্তিরা নির্বাচন বানচাল করতে চায়।
মাহাতাবউদ্দিন আরও বলেন, সব আইনজীবী যখন আদালত চত্বরে ব্যস্ত ছিলেন, তখনই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। সবাই বহিরাগত হওয়ায় কাউকে চেনা যায়নি। তারা বিশেষ কোনো প্রার্থীকে টার্গেট করেনি। হামলাকারীরা সব প্রার্থীর ক্যাম্প ভাঙচুর করেছে। তাতেই বোঝা যায় তাদের লক্ষ্য কুষ্টিয়া আইনজীবী সমিতির নির্বাচন হতে না দেওয়া।
জামায়াতপন্থী সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট শেখ মহম্মদ আজিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত ৫ আগস্টের পর কুষ্টিয়া আদালতের পরিস্থিতিকে অশান্ত করতে চাচ্ছে তারা। কারা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে যারা বুঝে গেছে তাদের পরাজয় নিশ্চিত, তারাই এটা করেছে।