চাঁদপুর লঞ্চঘাটে হুড়োহুড়ি করে উঠতে গিয়ে অন্তত ২০ যাত্রী আহত হয়েছেন। আজ রোববার সকালে ঢাকাগামী এমভি সোনার তরী–২ ও ইমাম হাসান লঞ্চে উঠতে গিয়ে এসব যাত্রী আহত হন। আহতদের কয়েকজন চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। কয়েকজন আহত অবস্থায়ই ঢাকা গেছেন।
সকাল থেকে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যাত্রীদের চাপ বাড়তে শুরু করে। বেলা ১১টার পর কোনো লঞ্চ না থাকায় চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জেলার মানুষ লঞ্চঘাটে জড়ো হতে থাকেন। এক পর্যায়ে যাত্রীর চাপে হুড়োহুড়ি লেগে যায়। যাত্রীদের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হিমশিম খায় বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ–পুলিশ সদস্যরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢল নামে মানুষের।
শিডিউলের বাইরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সোনার তরী–২ ও ইমাম হাসান লঞ্চ চাঁদপুর ঘাটে আসামাত্র যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে লঞ্চে উঠতে থাকেন। এ সময় যাত্রীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও লঞ্চের ধাক্কায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। এর মধ্যে দুই নারী ও এক যুবকের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের তাৎক্ষণিকভাবে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
চাঁদপুর নৌ–থানার ওসি মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, সময় কম থাকায় অনেকে লঞ্চঘাটে আসতে পারেননি। যার কারণে অল্প কিছু লঞ্চ চাঁদপুর–ঢাকা যাতায়াত করেছে। যাত্রীর চাপ থাকায় নির্ধারিত সময়ের আগেই ঘাট থেকে লঞ্চ ছেড়ে গেছে। এতে দূর–দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা আটকা পড়েন। যে পরিমাণ যাত্রী তাতে আরও ৫ /৬টি লঞ্চ থাকলেও সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না। এসময় ঢাকার দুটি লঞ্চ ঘাটে এলে যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে উঠতে শুরু করেন। এতে কিছু মানুষ আহত হয়েছেন।
বিআইডব্লিউটিএর উপ–পরিচালক ও বন্দর কর্মকর্তা কায়সারুল ইসলাম বলেন, চাঁদপুরে লঞ্চগুলো যাত্রীর চাপে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হয়েছে। যার কারণে আমরা কিছু সময় লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর চাপ বাড়তে থাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলোতে চাঁদপুর ঘাটের যাত্রী নিতে দেওয়া হয়। ঘাটে লঞ্চ এলে কার আগে কে উঠবে, এ নিয়ে হুড়োহুড়ি লেগে যায়। এতে কিছু মানুষ আহত হয়।