নিখোঁজ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর কেরামত আলীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার ভোর পাঁচটার দিকে মাদার নদীর চর থেকে স্থানীয়রা ভাসমান অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে মাছ শিকারের বড়শি নদীতে আটকে গেলে তা ছাড়াতে গিয়ে ডুব দেওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দলের সদস্যরা সারা দিন মাদার নদীর বিভিন্ন অংশে অভিযান চালিয়ে তাঁকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হন।
জানা যায়, দুই পুত্রের জনক কেয়ামত আলী শ্যামনগর উপজেলার বৈশখালী গ্রামের মৃত মনসুর গাজীর ছেলে ছিলেন।
কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম জানান, সহায় সম্বলহীন দিনমজুর ওই ব্যক্তি পরিবার নিয়ে মাদার নদীর চরে বসবাস করতেন।
এ বিষয়ে রায়নগর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তারক বিশ্বাস জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকালে নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তির মৃতদেহ আজ বুধবার ভোরে মাদার নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। আগে থেকেই মৃগী রোগে আক্রান্ত কেরামত ডুব দিয়ে উঠতে না পারায় নদীতে ডুবে যায়। পরিবারের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে সকাল ৯টার দিকে তাঁর মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।