চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা গতকাল রোববার বিকেলে মোবাইল ফোনে বার্তা পাঠিয়ে দোকানের কর্মচারীকে জানান ব্যবসায়ী বনমালী মণ্ডল (৪০)। ওইসময় ধরে নিখোঁজ থাকার পর আজ সোমবার সকালে খুলনা রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করেছে রেলওয়ে থানা-পুলিশ (জিআরপি)।
নিহত বনমালী জেলার কয়রা উপজেলা সদরের ৬ নম্বর কয়রা গ্রামের জোতিন্দ্রনাথ মণ্ডলের ছেলে। তিনি খুলনা মহানগরীর বড় বাজারের কদমতলা এলাকায় কাঁচামালের আড়তদার ছিলেন।
লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মো. খবির আহম্মেদ। তিনি বলেন, ‘আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রেল স্টেশনের ইয়ার্ড থেকে ব্যবসায়ী বনমালীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যাননি। তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাঁকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।’
দোকানের কর্মচারী হেমন্ত কুমার মণ্ডল জানান, বনমালী গতকাল বিকেল ৩টার দিকে নগরীর শেখপাড়ার বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হেমন্ত কুমারের মোবাইল ফোনে বনমালী বার্তা পাঠিয়ে জানান, ‘তাঁকে তিন-চারজন ব্যক্তি চোখ বেঁধে তুলে নিয়েছে। তাঁরা তাঁকে মেরে ফেলবে।’ এই বার্তা পাওয়ার পর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁকে না পেয়ে স্বজনেরা রাতে নগরীর সোনাডাঙা থানায় যান। কিন্তু পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে তাঁরা অভিযোগ করছেন।
এ বিষয়ে সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, ‘গতকাল রাতে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর দোকানের কর্মচারী থানায় এসেছিলেন। সঙ্গে ওই ব্যবসায়ীর কোনো আত্মীয়-স্বজন ছিলেন না। বিষয়টি ভালোভাবে না বলতে পারায় ও সোনাডাঙ্গা থানা এলাকায় না হওয়ায় ওই কর্মচারীকে আমরা অপেক্ষা করতে বলি। তবে, তাঁদের অভিযোগটি গুরুত্ব দেওয়া হয়নি এটি ঠিক নয়।’