সাতক্ষীরার শ্যামনগরের কালিন্দীসহ পাঁচ নদীর মোহনায় ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ জেলের মরদেহ দুই দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে সুন্দরবনের উলুখালী নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্যামনগরের রায়নগর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তারক কুমার সরকার।
ওই জেলের নাম রুহুল কুদ্দুস (৫০)। তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী গ্রামের রমজান গাজীর ছেলে।
রুহুল কুদ্দুসের ভাই আব্দুর রশিদ জানান, রুহুল কুদ্দুস বৃহস্পতিবার বলা সাড়ে ১১টার দিকে কালিঞ্চিসহ পাঁচ নদীর মোহনায় মাছ ধরার সময় ঝড়ে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ হন। এরপর থেকে কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম, নৌ-পুলিশ ও কোস্ট গার্ডসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কুদ্দুসকে উদ্ধারের জন্য সুন্দরবনসংলগ্ন নদীতে অভিযান চালিয়ে আসছিলেন। পরে শনিবার সকাল ৯টার দিকে সুন্দরবনের উলুখালী নদী থেকে তাঁর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শ্যামনগরের রায়নগর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তারক কুমার সরকার বলেন, ‘নিখোঁজ জেলে রুহুল কুদ্দুসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে মরদেহ তাঁর স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় কালবৈশাখী ঝড়ে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ, রমজাননগর ও কৈখালী ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের চার শতাধিক আধা পাকা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে যায়। কৈখালী গ্রামের জেলে রুহুল কুদ্দুস মাছ ধরতে গিয়ে কালিঞ্চিসহ সুন্দরবনসংলগ্ন পাঁচ নদীর মোহনায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ হন।