উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া সদরে ভোটার উপস্থিতি কম। এমনকি সময় বাড়ার সঙ্গেও এর কোনো পরিবর্তন হয়নি। কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের দেখা মিলছে না। সকাল সাড়ে ১০টায় ভোট শুরু হওয়ার আড়াই ঘণ্টায়ও পাটিকাবাড়ী ইউনিয়নের ৪৯ নম্বর মাজিলা সরকারি বালক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৯ নম্বর বুথে কোনো ভোট পোল না হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার রাকিব উদ্দিন জানান, এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ হাজার ৮৮০। আড়াই ঘণ্টায় এখানে ৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। এ ছাড়া ৯ নম্বর বুথে এই সময়ে একটি ভোটও পোল হয়নি। এই বুথে ভোটার রয়েছেন ৪১০ জন। কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি একেবারেই কম।
এদিকে সকালে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা। প্রথম এক ঘণ্টায় এই কেন্দ্রে চারটি ভোট পোল হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আতা মাহবুবউল আলম হানিফ এমপির চাচাতো ভাই। আর নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে হামলায় আহত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকের আবু আহাদ আল মামুনের কোনো এজেন্ট ভোটকেন্দ্রে দেখা যায়নি।
বর্তমান চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা বলেন, রাতে বৃষ্টি হয়েছে, এ কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে।
তবে ভিন্ন কথা বলেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবু আহাদ আল মামুন। তিনি বলেন, ‘একজন প্রার্থীর ওপর যদি হামলা হয়, তাহলে সাধারণ ভোটাররা কোনো সাহসে ভোটকেন্দ্রে যাবে?’
কেন্দ্রে মোটরসাইকেল প্রতীকের কোনো এজেন্ট না দেওয়ার ব্যাপারে এই প্রার্থী বলেন, ‘আপনারা জানেন, প্রচারের শেষ দিনে আমার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আমি হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। জোর করে রিলিজ নিয়ে ভোটের মাঠে নেমেছি সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করার জন্য। যেখানে আমার নিরাপত্তা নেই, সেখানে আমার পোলিং এজেন্টের নিরাপত্তা কে দেবে?’
অন্যদিকে সদর ছাড়াও খোকসা উপজেলায় জমজমাট ভোট হচ্ছে। চেয়ারম্যান পদে তিনজন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী থাকায় তুলনামূলক ভোটার উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে।