বাগেরহাটের মোল্লাহাটে বিদ্যুতায়িত ছেলেকে উদ্ধার করতে গিয়ে বাবার মৃত্যু হয়েছে। সেই সঙ্গে স্ত্রী-সন্তানসহ আহত হয়েছেন আরও চারজন। আহতেরা মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার নতুন ঘোষগাঁতি গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা নাম কিংকং মোল্লা (৬২)। আহতেরা হলেন—নিহতের ছেলে সোহান (২২), মেয়ে হনুফা বেগম (৩০), স্ত্রী সাহেদা বেগম (৫৮) ও প্রতিবেশী মো. ফিরোজ (৪৭)।
আহত প্রতিবেশী মো. ফিরোজ আজকের পত্রিকাকে জানান, কিংকং মোল্লার ঘর থেকে আরেকটি ঘরে বিদ্যুতের লাইন নেওয়া হয়েছে। ওই ঘর ও রান্নাঘরের সঙ্গে একটি লোহার তার টাঙানো হয়েছে কাপড় শুকানোর জন্য। পাশের ঘরে বিদ্যুৎ সরবরাহের তারটি ছিদ্র হয়ে টিনের চাল বিদ্যুতায়িত হয়। ওই চালের সঙ্গে কাপড় শুকানোর তার লেগে থাকায় সেটিও বিদ্যুতায়িত হয়। বিদ্যুতের তার ছিদ্রের বিষয়টি কেউ বুঝতে পারেনি।
এ দিকে কিংকং মোল্লা ও তাঁর ছেলে নিজেদের খাবার হোটেল বন্ধ করে রাতে বাড়ি ফেরে। এরপর সোহান গোসল করে উঠানে টাঙানো তারে গামছা ছড়িয়ে দিতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে চিৎকার করে। এ সময় কিংকং মোল্লা দৌড়ে গিয়ে ছেলেকে ধাক্কা দিয়ে দূরে ফেলে দেন। এতে ছেলে প্রাণে বেঁচে গেলেও তারের এক মাথা (রান্না ঘরের অংশ) ছিঁড়ে তাঁর গায়ে পেঁচিয়ে যায়। তখন কিংকং মোল্লার স্ত্রী ও মেয়ে চিৎকার করাসহ উদ্ধারের চেষ্টা করে। এতে তাঁরাও আহত হন।
পরে তিনি (প্রতিবেশী ফিরোজ) তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে নিজেও আহত হন। এরপর স্থানীয়রা ওই ঘরে ঢুকে মেইন সুইচ বন্ধ করে দেন। ততক্ষণে কিংকং মোল্লার মৃত্যু হয়। নিহত কিংকং মোল্লাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।