নীলফামারী প্রতিনিধি
ঘন কুয়াশার কারণে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সব ধরনের ফ্লাইট উঠানামা সাময়িক বন্ধ রয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিমানবন্দর এলাকায় দৃষ্টিসীমা কম থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বেসরকারি কোম্পানির তিনটি ফ্লাইট অবতরণ না করায় ঢাকাগামী দুই শতাধিক যাত্রী আটকা পড়েছে বিমানবন্দরে।
সূচি অনুযায়ী ফ্লাইটগুলো বেলা সোয়া ১১টা থেকে অবতরণ করার কথা ছিল। তবে এখনো কোনো ফ্লাইট বাতিল করা হয়নি।
বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৩ শতাংশ ও গতিবেগ ঘণ্টায় উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ৬ কিলোমিটার। দুপুর সাড়ে ১২টায় বিমানবন্দর এলাকায় দৃষ্টিসীমা ছিল ১০০০ মিটারের মধ্যে।’
তিনি বলেন, ‘বিমান চলাচলের জন্য কমপক্ষে ২০০০ মিটার ভিজিবিলিটি প্রয়োজন। তবে ধীরে ধীরে ঘন কুয়াশা কাটছে। আবহাওয়ার এ পরিস্থিতি চলমান থাকলে বেলা ১টার পরে প্রয়োজনীয় দৃষ্টিসীমার আওতায় চলে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হবে।’
বিমানবন্দর সূত্রমতে, ঘন কুয়াশার কারণে সকাল সোয়া ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বেসরকারি কোম্পানির নভোএয়ার, এয়ার এস্ট্রা এবং ইউএস-বাংলার তিনটি ফ্লাইট অবতরণ করেনি। সূত্রটি জানায়, প্রতিদিন সৈয়দপুর-ঢাকা রুটে বাংলাদেশ বিমানের সহ মোট ১১টি ফ্লাইট চলাচল করে।
এ দিকে বিমানবন্দরে কথা হয় বেসরকারি বিমানের ঢাকাগামী যাত্রী আরিফুল ইসলামের সঙ্গে। পঞ্চগড় শহরের এই যাত্রী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘন কুয়াশার মধ্যে মাইক্রোবাস ভাড়া করে সকাল ১০টায় বিমানবন্দরে এসেছি। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় সময়মতো ঢাকায় যেতে পারছি না। ঢাকায় জরুরি অফিশিয়াল কাজ শেষে সন্ধ্যার ফ্লাইটে ফেরত আসার টিকিট করা রয়েছে। সময় ও অর্থ দুটিই ক্ষতি হয়ে গেল এখন।’
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক বাহাউদ্দিন জাকারিয়া বলেন, ‘শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে এমন পরিস্থিতি প্রায়ই হয়। কুয়াশা কেটে যাওয়ার পর ফ্লাইটগুলো অবতরণ করে। আজও এখন পর্যন্ত কোনো ফ্লাইট বাতিল করা হয়নি। আশা করছি বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হবে।’