সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় স্কুলছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণের দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক বেগম সালমা খাতুন এই রায় দেন। একই সঙ্গে তাঁকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার শ্যামপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সম্পর্কে ভুক্তভোগীর আপন খালু।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মাসুদুর রহমান বলেন, আসামির জরিমানার ১ লাখ টাকা তাঁর সম্পদ থেকে ভুক্তভোগী আদায় করতে পারবে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীতে তার খালার বাড়ি বেড়াতে যায়। ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি সে বাসযোগে কুষ্টিয়া থেকে সিরাজগঞ্জে ফিরছিল। পথিমধ্যে ওই খালু তাকে ফোন করে সিরাজগঞ্জ রোড গোলচত্বরে নামতে বলেন।
দুপুরে সে গোলচত্বরে নামলে খালু তাকে সলঙ্গা থানার চড়িয়া শিকার উত্তরপাড়া নিজের ভাড়াবাড়িতে আসতে বলেন। এই বাড়িতে স্ত্রীসহ থাকেন তিনি। ওই দিন তাঁর স্ত্রী সিরাজগঞ্জে বেড়াতে যান। রাতে ভুক্তভোগী ঘুমিয়ে পড়লে খালু তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
পরে ভুক্তভোগীকে ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দিয়ে ঘরের মধ্যে আটকে পালিয়ে যান খালু। পরদিন সকালে তাঁর স্ত্রী বাড়ি এলে ভুক্তভোগী বিষয়টি জানায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলা চলাকালে ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আজ খালুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।