নাজমুল হক (৩০), পুলিশের ভুয়া এসআই পরিচয়ে বিভিন্ন এলাকায় নয় বিয়ে করেন। নিজ জেলা পাবনায় পাঁচটি এবং বগুড়ার মোকামতলা এলাকায় চারটি বিয়ে করে যৌতুক হিসেবে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। এতেই শেষ নয়, মোবাইল ফোনে পুলিশের পোশাক পড়া ছবি দেখিয়ে ভয়ভীতিও দেখাতেন অনেককে। অবশেষে পুলিশের হাতে আটক হলেন সেই নাজমুল।
গতকাল সোমবার রাতে বগুড়ার শিবগঞ্জে ভরিয়া গ্রামে বাড়ি ভাড়া নিতে গিয়ে তিনি আটক হন। নাজমুল হক পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার ধোপাদহ গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
বগুড়ার শিবগঞ্জ মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক আশিক ইকবাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, সোমবার সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার ভরিয়া গ্রামে ইউপি সদস্য মঞ্জু শেখের বাড়িতে যান নাজমুল হক। এ সময় তিনি নিজেকে গোবিন্দগঞ্জ থানার এসআই পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নিতে চান। এতে সন্দেহ হলে বাসা খালি নেই বলে তাকে জানিয়ে দেন মঞ্জু শেখ। পুলিশ পরিচয় দেওয়া নাজমুল মঞ্জু শেখের ফোন নম্বর নিয়ে চলে যান। এরপর বিকেলে ফোন করে মঞ্জু শেখের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ধার চান। মঞ্জু শেখ বিষয়টি মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জানান।
পুলিশ পরিদর্শক আশিক ইকবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নাজমুল হকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে পুলিশের পোশাক পড়া একাধিক ছবি উদ্ধার করা হয়। এই ছবিগুলো দেখিয়ে তিনি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতেন। ভয়ভীতিও দেখাতেন।’
তিনি বলেন, ‘অনুসন্ধানে জানা গেছে, নাজমুল হক পুলিশের এসআই পরিচয়ে তার এলাকাতেও আরও পাঁচটি বিয়ে করেছেন। এ ছাড়া মোকামতলা এলাকায় ৪টি বিয়ে করেছে। তাঁকে আটকের পর ইউপি সদস্য মঞ্জু শেখ বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।’