কথা-কাটাকাটির জেরে রাজশাহীর পুঠিয়ায় আওয়ামী লীগের সমর্থক এক প্রবাসীর বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিএনপির এক কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ সোমবার উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম জাহাঙ্গীর আলম (৩৫)। তিনি ফুলবাড়িয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে এবং মালোয়েশিয়াপ্রবাসী। তাঁর পরিবার আওয়ামী লীগের সমর্থক।
জাহাঙ্গীর আলমের ছোট ভাই জুয়েল জানান, স্থানীয় বিএনপির নেতা সাগর হোসেনের নেতৃত্বে তাঁর বাড়িতে হামলা করা হয়। হামলাকারীরা বাড়ি ভেঙে সব আসবাবপত্র লুট করেছে। তারা বাড়ি থেকে তিন ভরি স্বর্ণের গয়না, তিন লাখ টাকাসহ দামি জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে। এ ছাড়া তারা জাহাঙ্গীর আলমের শ্বশুর আব্দুল কাদেরের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাস্তা মেরামত করার জন্য জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ির সামনে ফেলা মাটি সরাতে যান জুয়েল। এ সময় স্থানীয় বিএনপির কর্মী সাইফুল ইসলাম বাধা দেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে মারামারি বেধে যায়।
এ সময় জুয়েল লোহার শাবল দিয়ে সাইফুলের মাথায় আঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। পরে বেলা ১১টার দিকে পুলিশ চলে গেলে বিএনপির কর্মী সাগরের নেতৃত্বে লোকজন গিয়ে আবার বাড়িতে হামলা করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাগর হোসেন বলেন, রাস্তার জায়গা না রেখে তাঁরা বাড়ি নির্মাণ করেছেন। বাড়ি নির্মাণের সময় স্থানীয় জনসাধারণ বাধা দেন। রাস্তার জায়গা ছেড়ে বাড়ি নির্মাণ করতে বলেন। কিন্তু জাহাঙ্গীর আলম কারও কথা শোনেননি।
সাগর হোসেন বলেন, ওই রাস্তার সংস্কারকাজ চলছে। কিছু মাটি তার বাড়ির সামনে রাখা হয়েছিল। জুয়েল গিয়ে সেই মাটি ফেলে দিতে থাকেন। এ সময় সাইফুল ইসলাম নামের একজন বাধা দিলে তাঁকে পিটিয়ে জখম করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গ্রামবাসী তাঁর বাড়িতে হামলা করেন।
জানতে চাইলে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে দুই দফায় সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।