হোম > সারা দেশ > রংপুর

লুপ লাইন সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ

সময় বাড়ে, কাজ শেষ হয় না

রেজা মাহমুদ, নীলফামারী

সংস্কার ও পুনর্নির্মাণকাজ চলা একটি লুপ লাইন। সম্প্রতি নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলস্টেশনে। ছবি: আজকের পত্রিকা

নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলপথের ১ হাজার ৪৪০ মিটার লুপ লাইনের সংস্কার ও পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালে। শেষ হওয়ার কথা ছিল পরের বছর। ঠিক সময়ে শেষ তো হয়ইনি; উল্টো চার দফা বাড়ানো হয়েছে মেয়াদ। এরপরও বাকি ২০ শতাংশ কাজ। সর্বশেষ গত নভেম্বরে কাজ শেষ করার সময় বেঁধে দেওয়া হয়। তবে এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আর খোঁজ মিলছে না ঠিকাদারের। তিনি গা ঢাকা দেওয়ায় সংস্কারকাজ বন্ধ রয়েছে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় এবং ভারতের শিলিগুড়ি থেকে আমদানি করা পাথর ওয়াগন থেকে ভেকু মেশিন দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাকে লোড করার কারণে সৈয়দপুর স্টেশনের পূর্ব পাশের লুপ লাইনগুলো বেহাল হয়ে যায়। এতে প্রায়ই মালবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হতো। এ কারণে স্থানীয় রেলওয়ে দপ্তর ওই লাইন চলাচলের জন্য অনুপযোগী ঘোষণা করে। পরে শিলিগুড়ি ও বাংলাদেশের পণ্য আনা-নেওয়ার সুবিধা বাড়াতে সংস্কারের জন্য ২০২২ সালে দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্র অনুযায়ী রেলওয়ে স্টেশনের উত্তরে রেলওয়ের সংকেত ঘর ও দক্ষিণে ২ নম্বর রেলক্রসিং পর্যন্ত ১ হাজার ৪৪০ মিটার রেলপথ সংস্কার ও পুনর্নির্মাণের জন্য ৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। দরপত্রের মাধ্যমে সংস্কারকাজটি পায় যশোর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের প্রতিষ্ঠান মেসার্স ক্যাসেল কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিএল)। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ২০২৩ সালে ৩১ জানুয়ারি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। এরপর ৪ দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে গত বছরের নভেম্বরে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও বর্তমানে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের দাবি, এখনো ২০ শতাংশ কাজ বাকি।

সরেজমিনে দেখা যায়, লুপ লাইনের রেলপথে রেললাইন বিছানো হলেও অনেক স্থানেই লাগানো হয়নি ক্লিপ। দেওয়া হয়নি নির্ধারিত পরিমাণ পাথরও। আবার কোথাও কোথাও পাথর দেওয়াই হয়নি। বন্ধ রয়েছে সংস্কারকাজ।

এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক কাজী নাবিল আহমেদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় রেলওয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ওই ঠিকাদার একজন আওয়ামী লীগ নেতা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। অর্থসংকটের কারণে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।

রেলওয়ের সৈয়দপুর স্টেশনমাস্টার ওবাইদুল ইসলাম রতন বলেন, ভৌগোলিক দিক বিবেচনায় এ স্টেশনের লুপ লাইনগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ট্রেনযোগে ভারতের শিলিগুড়ি থেকে পাথরসহ আমদানি করা পণ্য ও দেশের মালামাল লাইনগুলোয় রেখে লোড-আনলোড করা হয়। এ ছাড়া ট্রেনে করে দেশের অভ্যন্তরেও বিভিন্ন পণ্য আনা-নেওয়ার কাজে এ লুপ লাইনগুলো ব্যবহার করা হয়। এ থেকে প্রতি মাসে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা আয় করে রেলওয়ে। সেই হিসাবে বছরে প্রায় কোটি টাকা আয় থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে।

ওই লুপ লাইনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দপুর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মতিন বলেন, এক বছর মেয়াদে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ শেষ করার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। এরপর ৪ দফা সময় বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ গত বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। এই বর্ধিত মেয়াদেও কাজ শেষ করতে পারেনি। এখনো ২০ শতাংশ কাজ বাকি আছে। পরিমাণমতো পাথর দেওয়া হয়নি এবং পাথরের বক্সিং কাজও বাকি আছে। এর মধ্যে হঠাৎ করেই কাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। যোগাযোগের চেষ্টা করেও খোঁজ মিলছে না ঠিকাদারের।

বিএনপি নেতাকে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

বরখাস্ত করা অধ্যক্ষকে পুনর্বহালে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা

ঝড়-শিলায় ক্ষতি ৩৬০ বিঘা পেঁয়াজবীজের খেত

মহাসড়কজুড়ে ‘আলপথ’, তদন্তে নেমেছে দুদক

হাসপাতালে দুই দিন ধরে চিকিৎসাসেবা বন্ধ, রোগীদের দুর্ভোগ

গ্রামে ঘুরে ঘুরে শিশুদের আবদার ‘রাক্ষস এসেছি রে...চাল দে’

ফুলবাড়ীতে গাছের চাপায় পড়ে নারীর মৃত্যু

গাইবান্ধায় জামায়াতের গণসংযোগ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের হামলা, আহত ২

আ.লীগ সরকারের পতনের ৮ মাস পরও বিদ্যুৎ বিলে শেখ হাসিনার স্লোগান

গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হামলায় বিএনপির ৬ জন আহত, আটক ৩