কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় এক বিএনপি নেতার কাছে মাদক ও অস্ত্র থাকার দাবি করে আকস্মিক দেহ তল্লাশি করেছে পুলিশ। তবে ওই বিএনপি নেতার কাছে কিছুই পাওয়া যায়নি। গতকাল রোববার রাত ৮টার দিকে উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের দাঁতভাঙ্গা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তবে ওই বিএনপি নেতার দাবি, তল্লাশির নিয়ম না মেনে আনুষ্ঠানিক কোনো সাক্ষীর উপস্থিতি ছাড়াই এভাবে দেহ তল্লাশি করে পুলিশ মূলত তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। বাজারে লোকজনের সামনে আকস্মিক পুলিশের এমন আচরণে তাঁর সম্মানহানি হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর।
ওই বিএনপি নেতার নাম মোখলেছুর রহমান (৪২)। তিনি দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। পেশায় সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী। তিনি জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সফিকুল ইসলাম বেবুর নিকটাত্মীয় (বোন জামাইয়ের ছোট ভাই)।
ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা বলেন, ‘রাত ৮টার দিকে আমি দাঁতভাঙ্গা বাজারে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ পুলিশের এএসআই মুনির এসে আমাকে বলে ‘‘আপনাকে সার্চ করব। আমাদের কাছে খবর আছে আপনার কাছে মাদক ও অস্ত্র আছে।” এই বলে আমাকে অন্ধকারে নিয়ে যেতে চায়। তখন আমি বলি যে না, আমি কোথাও যাব না। এখানেই সার্চ করেন। তখন আমাকে সার্চ করে। কিন্তু কিছুই পায়নি। এ সময় আমার পরিচিতজন এসে এভাবে সার্চ করার প্রতিবাদ জানায়। রৌমারী থানার ওসি বাজারে উপস্থিত ছিলেন।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ। এলাকায় আমার একটা সম্মান আছে। এভাবে মাদক আর অস্ত্র রাখার অভিযোগ তুলে পুলিশ আকস্মিক আমাকে সার্চ করায় আমি অসম্মান বোধ করেছি। আমি বিএনপির রাজনীতি করি। পুলিশ মূলত আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টায় এমনটা করেছে। আমি তাদের কথায় অন্ধকারে সরে গেলেই আমাকে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দিত।’
আইনজীবীরা বলছেন, পুলিশ চাইলেই যে কাউকে তল্লাশি করতে পারে। কিন্তু সেটা একটা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে করতে হবে। নিয়ম অনুসরণ না করে পুলিশ যেনতেনভাবে তল্লাশি করতে পারে না। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সাবেক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুর রহমান দুলু বলেন, ‘পুলিশ যে কাউকে তল্লাশি করতে পারে। তবে এ জন্য নিরপেক্ষ দুজন সাক্ষীর সম্মুখে তল্লাশি করতে হবে এবং তল্লাশির পূর্বে ওই পুলিশ সদস্যকে ক্লিন হ্যান্ড হতে হবে। এ জন্য উপস্থিত সাক্ষী কিংবা তল্লাশির জন্য টার্গেট ব্যক্তি আগে ওই পুলিশ সদস্যকে তল্লাশি করবেন। এটাই পুলিশ রেগুলেশন ১৯৪৩-এর ২৮০ রেগুলেশন অনুসারে তল্লাশির বিধান।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান দাবি করেছেন, পুলিশ এভাবে তল্লাশি করতে পারে। এতে নিয়মের কোনো ব্যত্যয় হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমরা মাদক অভিযানে ছিলাম। আমাদের সোর্স বলেছিল ওই ব্যক্তির কাছে মাদক থাকতে পারে। পরে প্রকাশ্য স্থানে তাকে সার্চ করা হয়েছে। কিছু পাওয়া যায়নি। তাকে আমরা বলেছি, যে ইনফরমেশন দিয়েছে সে হয়তো ঠিক দেয়নি।’
পুলিশের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতাকে ফাঁসানোর অভিযোগ প্রশ্নে ওসি বলেন, ‘এটা সঠিক নয়। পুলিশ তো সোর্সের ভিত্তিতে মাদক উদ্ধার করে। ফাঁসানোর পাঁয়তারা করবে কেন?’
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় এক বিএনপি নেতার কাছে মাদক ও অস্ত্র থাকার দাবি করে আকস্মিক দেহ তল্লাশি করেছে পুলিশ। তবে ওই বিএনপি নেতার কাছে কিছুই পাওয়া যায়নি। গতকাল রোববার রাত ৮টার দিকে উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের দাঁতভাঙ্গা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তবে ওই বিএনপি নেতার দাবি, তল্লাশির নিয়ম না মেনে আনুষ্ঠানিক কোনো সাক্ষীর উপস্থিতি ছাড়াই এভাবে দেহ তল্লাশি করে পুলিশ মূলত তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। বাজারে লোকজনের সামনে আকস্মিক পুলিশের এমন আচরণে তাঁর সম্মানহানি হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর।
ওই বিএনপি নেতার নাম মোখলেছুর রহমান (৪২)। তিনি দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। পেশায় সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী। তিনি জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সফিকুল ইসলাম বেবুর নিকটাত্মীয় (বোন জামাইয়ের ছোট ভাই)।
ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা বলেন, ‘রাত ৮টার দিকে আমি দাঁতভাঙ্গা বাজারে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ পুলিশের এএসআই মুনির এসে আমাকে বলে ‘‘আপনাকে সার্চ করব। আমাদের কাছে খবর আছে আপনার কাছে মাদক ও অস্ত্র আছে।” এই বলে আমাকে অন্ধকারে নিয়ে যেতে চায়। তখন আমি বলি যে না, আমি কোথাও যাব না। এখানেই সার্চ করেন। তখন আমাকে সার্চ করে। কিন্তু কিছুই পায়নি। এ সময় আমার পরিচিতজন এসে এভাবে সার্চ করার প্রতিবাদ জানায়। রৌমারী থানার ওসি বাজারে উপস্থিত ছিলেন।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ। এলাকায় আমার একটা সম্মান আছে। এভাবে মাদক আর অস্ত্র রাখার অভিযোগ তুলে পুলিশ আকস্মিক আমাকে সার্চ করায় আমি অসম্মান বোধ করেছি। আমি বিএনপির রাজনীতি করি। পুলিশ মূলত আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টায় এমনটা করেছে। আমি তাদের কথায় অন্ধকারে সরে গেলেই আমাকে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দিত।’
আইনজীবীরা বলছেন, পুলিশ চাইলেই যে কাউকে তল্লাশি করতে পারে। কিন্তু সেটা একটা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে করতে হবে। নিয়ম অনুসরণ না করে পুলিশ যেনতেনভাবে তল্লাশি করতে পারে না। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সাবেক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুর রহমান দুলু বলেন, ‘পুলিশ যে কাউকে তল্লাশি করতে পারে। তবে এ জন্য নিরপেক্ষ দুজন সাক্ষীর সম্মুখে তল্লাশি করতে হবে এবং তল্লাশির পূর্বে ওই পুলিশ সদস্যকে ক্লিন হ্যান্ড হতে হবে। এ জন্য উপস্থিত সাক্ষী কিংবা তল্লাশির জন্য টার্গেট ব্যক্তি আগে ওই পুলিশ সদস্যকে তল্লাশি করবেন। এটাই পুলিশ রেগুলেশন ১৯৪৩-এর ২৮০ রেগুলেশন অনুসারে তল্লাশির বিধান।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান দাবি করেছেন, পুলিশ এভাবে তল্লাশি করতে পারে। এতে নিয়মের কোনো ব্যত্যয় হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমরা মাদক অভিযানে ছিলাম। আমাদের সোর্স বলেছিল ওই ব্যক্তির কাছে মাদক থাকতে পারে। পরে প্রকাশ্য স্থানে তাকে সার্চ করা হয়েছে। কিছু পাওয়া যায়নি। তাকে আমরা বলেছি, যে ইনফরমেশন দিয়েছে সে হয়তো ঠিক দেয়নি।’
পুলিশের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতাকে ফাঁসানোর অভিযোগ প্রশ্নে ওসি বলেন, ‘এটা সঠিক নয়। পুলিশ তো সোর্সের ভিত্তিতে মাদক উদ্ধার করে। ফাঁসানোর পাঁয়তারা করবে কেন?’
খুলনা বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে সাড়ে ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাস চত্বর থেকে তারা এ কর্মসূচি শুরু করেন।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলার আসামিকে গুলি করে এবং কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার রাত ৯টার দিকে নগরের বোয়ালিয়া থানার পঞ্চবটী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেবরগুনার বেতাগীতে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে এক তরুণের কাছ থেকে সাত লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে মো. মশিউর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে থানা-পুলিশ। তিনি বেতাগী উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল হালিম।
২ ঘণ্টা আগেমেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে। আজ বুধবার বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের বেঞ্চে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে পেপারবুক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এ শুনানি শুরু হয়।
২ ঘণ্টা আগে