কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় এক যুবকের গলা ব্লেড দিয়ে কেটে দিয়েছেন স্ত্রী। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের বাগভান্ডার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত মঈনুদ্দিনের মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে শনিবার রাতে মামলা করেছেন। অভিযুক্ত স্ত্রী সোমাকে রাতেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আহত স্বামীর নাম মঈনুদ্দিন (৩২)। তিনি ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ভোটহাট গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে অভিযুক্ত স্ত্রীর নাম সোমা খাতুন (২১)। পাথরডুবী ইউনিয়নের তালুক মশালডাঙ্গা গ্রামের উমর আলীর মেয়ে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, মঈনুদ্দিন ও সোমার প্রায় চার বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর মঈনুদ্দিন সিঙ্গাপুর চলে যান। ৪ ডিসেম্বর তিনি দেশে ফিরে এলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বাধে। শনিবার রাতে তাঁরা সোমার বড় বোনের বাড়ি বাগভান্ডার গ্রামে দাওয়াত খেতে যান। সেখানে গিয়েও তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়।
এরপর হাতাহাতির একপর্যায়ে সোমা ধারালো ব্লেড দিয়ে মঈনুদ্দিনের গলায় আঘাত করেন। মুমূর্ষু অবস্থায় মঈনুদ্দিনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় জরুরি বিভাগের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
সোমা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মঈনুদ্দিন শারীরিক নির্যাতন করত। শনিবার রাতে সে আমার গলা চেপে ধরে। আত্মরক্ষা করতে হাতের কাছে পাওয়া ব্লেড দিয়ে আঘাত করেছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম বলেন, মঈনুদ্দিনের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। রক্তক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ না হওয়ায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। মঈনুদ্দিনের মা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। অভিযুক্ত সোমা খাতুনকে শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তে প্রকৃত কারণ উঠে আসবে।