রংপুর প্রতিনিধি
রংপুরের পীরগঞ্জে জোড়া হত্যা মামলায় দুজনের ফাঁসি ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ রোববার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচার ফজলে খোদা মোহাম্মদ নাজিম এ রায় দেন।
ফাঁসির আদেশপ্রাপ্তরা হলেন—আব্দুর রশিদ নান্নু ও হারুন মণ্ডল এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হলেন আকমল হোসেন।
আদালত ও মামলা এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৮ জুলাই রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার তাহেরপুর এলাকায় জমিজমা সংক্রান্ত জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল ও তাঁর ভাতিজা সামছুল মণ্ডল গুরুতর আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। একদিন পরেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় চাচা ভাতিজা মৃত্যুবরণ করেন। পরে এ ঘটনায় নিহত আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে আরিফা খাতুন বাদী হয়ে পীরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে মামলার শুনানি ও ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ দুজনের ফাঁসি ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন আদালত। এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে বাদী ও রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী।
এ দিকে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী মো. আফতাব উদ্দিন বলেন, দীর্ঘ ৬ বছর ধরে মামলার শুনানি ও ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ দুজনের ফাঁসি ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে বাদী নিহত আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে আরিফা খাতুন। দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে খোদা মোহাম্মদ নাজিম দণ্ডবিধি ৩০২ ও অন্যান্য ধারায় আসামি মো. হারুন মণ্ডল ও রশিদ মণ্ডলকে মৃত্যুদণ্ড এবং আকমল হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন ও জরিমানা করেছেন।
তবে আসামি পক্ষের আইনজীবী জহুরুল আলম বলেন, ‘মামলা যেভাবে প্রমাণ করা দরকার রাষ্ট্র পক্ষের আনীত সাক্ষ্য প্রমাণে তদ্রূপ সন্দেহাতীত প্রমাণ করতে সক্ষম হয়নি। সংগত কারণে আমরা এই রায়ের প্রতি ক্ষুব্ধ ও অসন্তুষ্ট। আমরা এই বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব। আমার বিশ্বাস উচ্চ আদালতে প্রার্থী ও প্রতিজ্ঞামতে এই মামলা মোকদ্দমায় সমুনির্দশে গণ্যে খালাস পাব।’