হোম > বিশেষ সংখ্যা

আমরা সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনায় রেখে কাজ করছি

প্রশ্ন: আপনার মেডিকেল কলেজ সম্পর্কে জানতে চাই… 
উত্তর: এই মেডিকেল কলেজ রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, অর্থাৎ সাবেক আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালের একটি চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রথম ব্যাচ ভর্তি করা হয়। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত, বিএমডিসি অনুমোদিত এবং বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন করা একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ। এখানে বর্তমানে দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করছে। ৯টি ব্যাচ চলছে এখন পর্যন্ত। এগুলোর মধ্যে চতুর্থ ব্যাচ ইন্টার্নশিপ করছে এবং প্রথম তিনটি ব্যাচ ডাক্তারি পাস করেছে। মেডিকেল কলেজের সঙ্গে ওয়ান-স্টপ হাসপাতাল রয়েছে; সেখানে আমাদের শিক্ষার্থীরা ক্লিনিক্যাল শিক্ষায় পারদর্শী হতে পারে।

প্রশ্ন: অন্যান্য বেসরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে এই প্রতিষ্ঠান কেন ব্যতিক্রম?
উত্তর: প্রথমত, আমাদের মানসম্মত শিক্ষক আছেন। আমাদের বেশির ভাগ বেসিক ও ক্লিনিক্যাল বিষয়ের শিক্ষকেরা খ্যাতনামা। ঢাকা মেডিকেল, সলিমুল্লাহ মেডিকেলসহ সরকারি বড় বড় মেডিকেল কলেজ থেকে যাঁরা অবসরে চলে গেছেন অথবা অন্য কোনো কারণে চাকরি ছেড়ে আমাদের এখানে যোগদান করেছেন; স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের শিক্ষাদানের পদ্ধতি অন্যদের চেয়ে আলাদা। তাঁদের অভিজ্ঞতা ও ক্লিনিক্যাল ডিগ্রিগুলো অনন্য। ফলে শিক্ষার্থীরা তাঁদের কাছে প্রায়োগিক অর্থাৎ প্র্যাকটিক্যাল ও থিওরি—দুটিই ভালোভাবে শিখতে পারে।

আমাদের প্রতি ব্যাচে শিক্ষার্থী থাকে মাত্র ৬০ জন। তাদের মধ্যে ৪৫ শতাংশ বিদেশি। একদম বিশেষায়িত এবং বিশেষভাবে তাদের যত্ন নেওয়া হয়।

প্রশ্ন: এখানে পড়াশোনায় কোন বিষয়টি বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়? 
উত্তর: পড়াশোনায় ফাঁকির কোনো সুযোগ নেই এখানে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে পাঠ্যসূচি ও নিয়মকানুন রয়েছে, সেগুলো অনুসরণ করা হয়। কোনো শিক্ষার্থী ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে বা শৃঙ্খলা না মানলে তাৎক্ষণিক তার লোকাল গার্ডিয়ান এবং মা-বাবাকে জানানো হয়। এ ছাড়া শিক্ষকেরা তার গ্রুমিং সেশন নেন, যাতে কোনোভাবেই সে পিছিয়ে না পড়ে। আমাদের হাসপাতাল আধুনিক। এটি ৫০০ শয্যার অনুমোদিত এবং ৩৫০ শয্যার একটি সুপার স্পেশালিটি টারশিয়ারি কেয়ার হাসপাতাল। এখানে একজন শিক্ষার্থী জ্বর-কাশি থেকে শুরু করে হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিউর, স্ট্রোক, বাইপাস সার্জারি, ভাল্‌ভ সার্জারির ইত্যাদি জটিল রোগের চিকিৎসা হাতেকলমে শিখতে পারে। চিকিৎসাবিদ্যার সঙ্গে মানবিকতার যোগ না থাকলে তার গুরুত্ব নেই। এখানে এই মানবিক বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। আমাদের স্লোগান হচ্ছে—এমবিবিএস + হিউম্যানিটি = ডাক্তার। 

প্রশ্ন: এই মেডিকেল কলেজের সুযোগ-সুবিধা কী?
উত্তর: এটি শতভাগ আবাসিক মেডিকেল কলেজ। এখানে ছেলেমেয়েদের জন্য আলাদা হোস্টেল এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক হোস্টেল রয়েছে। এটি ওয়ান-স্টপ মেডিকেল কলেজ। এখানে সব বিভাগে প্রভাষক থেকে অধ্যাপক পর্যন্ত বিএমডিসির কারিকুলাম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মকানুন অনুযায়ী নেওয়া হয়েছে। এখানে অভিজ্ঞ জ্যেষ্ঠ শিক্ষকেরা রয়েছেন। আমরা শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ তৈরি করেছি। ক্লিনিক্যাল যে শিক্ষকেরা রয়েছেন, তাঁরা অভিজ্ঞতাসম্পন্ন; পাশাপাশি অ্যানাটমিতে ডিসেকশন, ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ল্যাব ও ক্লিনিক্যাল ল্যাব রয়েছে। আমাদের হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে সারা দেশ থেকে জটিল রোগীরা আসেন। ফলে ইন্টার্নরা হাতেকলমে শিখতে পারে, যেটা তাদের দক্ষতা বাড়িয়ে দেয়। 

প্রশ্ন: আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
উত্তর: আমরা এই ক্যাম্পাসকে আলাদাভাবে একটি বড় জায়গায় অচিরেই স্থানান্তর করব। আপনারা জানেন, এখানে ইউনিভার্সেল মেডিসিটি নামে সুপার স্পেশালিটির ৫০০ শয্যার হাসপাতালের নির্মাণকাজ চলছে। এক ছাদের নিচে আন্তর্জাতিক মানের একটি কোয়ার্টারনি কেয়ার হাসপাতাল হবে। সেখানে লিভার, কিডনি, বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশনসহ উন্নত বিশ্বের প্রায় সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে। রোগীদের যাতে আর বিদেশে গিয়ে অনেক টাকা ব্যয় করতে না হয়, সে জন্য কাজ করছি। আমরা মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসটিকে বিশাল পরিসরে নরসিংদীর পলাশে প্রায় ৪০ একর জায়গায় নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ক্যাম্পাসের কাজ শুরু হয়েছে।

সেখানে চিকিৎসকদের আবাসন, নার্সিং কলেজের আবাসন এবং শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসনের ব্যবস্থা হবে। রোগীদের থাকা ও বিনোদনের ব্যবস্থাও হবে। এখানে একটি সিনিয়র সিটিজেন মেডিকেল ভিলেজ থাকবে, যেখানে ৬৫ বছরের বেশি মানুষেরা অবসরের পর বসবাস করবেন। চিকিৎসকদের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা বাড়বে। শপিং মল থাকবে। অর্থাৎ ওয়ান-স্টপ একটি মেডিকেল রিসোর্ট হবে।মেডিকেল শিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সেখানে ১২৫ শিক্ষার্থীবিশিষ্ট ৭৫০ শয্যার একটি জেনারেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে; যাতে শিক্ষার্থীরা হাতেকলমে শিক্ষালাভ করবে। চাই হাসিমুখ সবার—এটা আমাদের স্বপ্ন, আমাদের অঙ্গীকার।

ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্ত্তী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

রাজনীতির হাতে পড়ে জাতীয়তাবাদের হাল

ইতিহাস পশ্চাদ্‌গামী নয়

চারদিকেই পাহারাদার গণতন্ত্রে পৌঁছাব কীভাবে

ধর্মনিরপেক্ষতা বাঙালিত্বের উৎসমূল

সেক্যুলার রাজনীতি ও বঙ্গবন্ধু

দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

যে ভাষণই ছিল স্বাধীনতার ঘোষণা

৭ মার্চ ও অতঃপর

‘আসুন, দেখুন, বিচার করুন’

অনন্য ভূমিকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

সেকশন